মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালীতে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত তরুণী উপজেলার কুতুবজোমের মেহেরিয়াপাড়ার উত্তর পাশে সাহেব মিয়া পাড়ার নুরুল আলমের মেয়ে।
আহত তরুণী জানান- আমাদের পূর্বেকার বসতবাড়ী বড় মহেশখালীস্থ কুলালপাড়ায়। ওখান থেকে বছর খানে আগে আমার পিতা নুরুল আলম সাহেব মিয়াপাড়ায় নূতন বসতবাড়ী তৈরী করে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছি। কিছু দিন আগে জাগিরাঘোনা এলাকার আলতাজ মিয়ার ছেলে আব্দু রহিম প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাব আহত তরুণী প্রহণ করেননি। এর পর থেকে ক্ষুদ্ধ হয়ে আব্দু রহিম সুযোগ খোজতে থাকে। অবশেষে ২৪ এপ্রিল বিকাল ৩টার সময় বাড়ীতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় আব্দু রহিম, এতে ব্যর্থ হয়ে চুরি দিয়ে আহত করে। এসময় তরুণীর শোর চিৎকারে পাশের ঘর থেকে তরুণীর ভাইয়ে বউ আয়েশা আক্তার এসে উদ্ধারের চেষ্টা করলে, তাকে আব্দু রহিমের সহযোগী নয়ন হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং মাথার চুল টেনেহিছড়ে ছিড়ে ফেলে। বিলের মাঝে বসতবাড়ী হওয়ার কারনে উপযুপরি আঘাত করে পালিয়ে গেছে হামলা ও ধর্ষণের চেষ্টাকারী ও তার সহযোগীরা। স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তরুণী ও তার আহত ভাবীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে আহতদের চিকিসার ব্যবস্থা করা হয়।
আহত তরুণীর পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার বিষয়ে আহত তরুণীর পিতা নুরুল আলম বাদী হয়ে ঘঁনার সাথে জড়িত আব্দুর রহিম ও মো: নয়নকে আসামী করে মহেশখালী থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাস চন্দ্র ধর জানান- অভিযোগ পেয়েছি ; ঘটনার সাথে জড়িতের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
