সোয়েব সাঈদ, রামু:

রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালী ছিদ্দিকের দোকান বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৪টি দোকান ও ২টি বসত বাড়ি ভষ্মিভূত হয়েছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ভোরে ওই বাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে আকষ্মিক আগুনের সূত্রপাত হলে তা মুহুর্তে আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের প্রাণপন চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা সবকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

স্থানীয়রা জানান, আগুনের সূত্রপাত্র হলেই তারা বিষয়টি রামু এবং কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের দমকল কর্মীদের অবহিত করলেও অগ্নিকান্ডস্থলে দমকল কর্মীদের গাড়ি পৌঁছতে ১ ঘন্টারও বেশী সময় লাগে। ফলে বাজারের ছোট-বড় ১৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ি ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

বাজারের এ এস এম এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্ত্বাধিকারি তরুন ব্যবসায়ি সাহেদুল ইসলাম জানান, ৮ মাস পূর্বে তিনি বৃহৎ পরিসরে এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু করেন। এ অগ্নিকান্ডে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। এ কারনে তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য ব্যবসায়িরা হলেন, সিরাজুল হকের মুদির দোকান, জসিমের মুদির দোকান, ডা. সেলিম এর ফার্মেসী, জহুর আলমের টেইলার্স, আবদুর রহিমের কুলিং কর্ণার, সাইফুল ইসলাম মনুর কুলিং কর্ণার, রবি শর্মার সেলুন, নবী হোসেনের কুলিং কর্ণার, ডা. শশ বিন্দু ধরের ফার্মেসী, মিলন দাশের লন্ড্রী দোকান, রিয়াজ উদ্দিনের ফলের দোকান, ফরিদুল আলমের ফার্মেসী, জহুর আলমের দোকান, শফি উল্লাহ ও মুবিনা আকতারের বসত বাড়ি।

এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে যান, রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, ভাইস চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন পপি, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ ভূট্টো, সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন, প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে তারা কোন সহায়তা পাননি।