হাবিবুর রহমান সোহেল :

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পার্শ্ববর্তী রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জাউজ পাড়া শিয়া পাড়া এলাকায় কথিপয় প্রভাবশালীদের মদদে
সরকারী (খাস জায়গা) পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণের কর্মযজ্ঞ আরম্ভ হয়েছে। এতে করে আরও অনেক সরকারী খাস জমি ও পাহাড় বেদখল হওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়েছে। পাশাপাশি হুমকির মূখে পড়ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ। সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে গর্জনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জাউজ পাড়া শিয়া পাড়া এলাকায় সরকারী (খাস জায়গা) পাহাড় কেটে আট কক্ষ বিশিষ্ট বহুতল দালান ঘর নির্মাণেরর কাজ চলছে।
জানতে চাইলে স্থানীরা বলেন মৃত কবির আহাম্মদের ছেলে নজরুল ইসলাম ও তার অপর ভাইরা মিলে গত ২ মাস ধরে ১০/১২ জন শ্রমিক দিয়ে এই দালান ঘর নির্মাণ করছেন। গত দুই মাস ধরে বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। মৃত কবির আহাম্মদ ওই এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। এ ব্যাপারে নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারী খাস জায়গা সেটা ঠিক আছে। তারা আরেক জনের কাছ থেকে স্টাম্প মুলে কিনেছে। পাহাড় কেটে ভবন নির্মানের বিষয়ে জানতে চাইলে, অভিযুক্ত বাড়ির মালিক নজরুল জানান, পাহাড় কেটে নয়, এলাকার আরো ১০ জনে যেভাবে সরকারী জায়গায় ঘর নির্মান কছে তারাও তাই করছে। স্থানীয় প্রশাসনের (ভূমি কর্মকর্তা তহশিলদার) সঙ্গে কথা বলেই ঘরটি তৈরী করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন স্থানীয় গর্জনিয়া ভূমি অফিসের কর্মকর্তা (তহশিলদার) মোঃ শাহেদ। তিনি বলেন, সরকারী জায়গার বিষয়ে কোন ছাড় নেই। এই ব্যাপারে তিনি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। রামুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ছাই তোহালা চৌধুরী বলেন, তিনি এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কামরুল হাসানের মোবাইলে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।