অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের উপর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করায় কাতারপ্রবাসী প্রকৌশলী, শিল্পী ও লেখক ড. আবদুল্লাহ আল মামুনকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ নাগরিক সমাজ। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন তাসনীম চৌধুরী চৈতি এবং মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।

১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কাতারের পাঁচ-তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল দ্যা দোহা সিটির জাওহারা হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাদাত হোসেন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাতারে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কাতার পেট্রোলিয়ামে কর্মরত ড. রাশেদ নোমান, কাতার বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ইশরাত হোসেন ও ড. আনোয়ারুল হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রাষ্ট্র্রদূত আসুদ আহমদ এমন একটি মহতি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ নাগরিক সমাজকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দূতাবাস এ ধরনের উদ্যোগের পাশে সব সময় থাকবে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ড. মামুনের এই অর্জন থেকে অনেক শিক্ষণীয় আছে, তাঁর এই অর্জন অনেককে অনুপ্রাণিত করবে।

পরে বক্তৃতাকালে ড. মামুন পরিণত বয়সে বিভিন্ন পারিবারিক, সামাজিক এবং পেশাদারী দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ডিগ্রি অর্জনের বিভিন্ন্ প্রতিকূলতা এবং চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, বয়স কিংবা দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততার কোন কিছুই নিজের লক্ষ্য ও স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হতে পারে না। আর তাই কোনো একজনও যদি তার এই প্রচেষ্টা দেখে অনুপ্রাণিত হয় সেটাই হবে তাঁর সবচেয়ে বড় পাওয়া।
পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার উদ্দেশে নিজের লেখা ও সুর করা এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় বিভিন্ন গান গেয়ে শোনান শিল্পী ড. মামুন। এ সময় তাঁর সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে একটি সঙ্গীত পরিবেশন করেন লোপা তপন।

অনুষ্ঠানে আগত শ্রোতা দর্শকরা জানান, বাংলাদেশি কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আয়োজিত অনেক অনুষ্ঠানের ভিড়ে এটি ছিল ব্যতিক্রমধর্মী একটি আয়োজন। সুস্থ বিনোদন এবং বাংলা সংস্কৃতির চর্চার পাশাপাশি একজন গুণী মানুষের প্রতি সম্মাননা জানানোর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান উপস্থিত কমিউনিটি নেতারা।

ড. মামুন কক্সবাজারের কৃতি সন্তান । তিনি কাতারে পরিবেশ ও নগর মন্ত্রণালয়ে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জনপ্রিয় বাংলা গান ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘এই মুখরিত জীবনের চলার পথে..’সহ অনেক গানের গীতিকার। সম্প্রতি তার কণ্ঠে গাওয়া একটি গানের অ্যালবামও প্রকাশিত হয় ঢাকা থেকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে তিনি সমসাময়িক জীবন, প্রবাসী এবং পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কে লেখালেখি করছেন। এছাড়া তাঁর লেখা একাধিক বই পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে দেশে বিদেশে।