এম, রিদুয়ানুল হক, চকরিয়া : চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী পদে চূড়ান্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মকছুদুল হক ছুট্টু। জন্ম থেকে বর্তমান পর্যন্ত আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ক্লিন ইমেজের নেতা মকছুদুল হক ছুট্টু। ১৯৮৫ সাল থেকে সাধারণ মানুষের বেশে রাজনীতি করে আসছেন তিনি। সততা, নিষ্ঠা, নৈতিকতা বুকে ধারণ করে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসা একজন কর্মী হিসেবে চকরিয়া বাসীর কাছে পরিচিত তিনি।
১৯৮৫ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় তিন দশক রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শাখার আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মকছুদুল হক ছুট্টু। দীর্ঘ ৩৪ বছরের রাজনীতি জীবন তাঁর। বর্তমানে তাঁকে রাজনীতির গুরু বললেই ভুল হবে না। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
চকরিয়া উপজেলার ইলিশিয়া চৌয়ারফাড়িতে জন্ম নেওয়া ছুট্টু ছাত্র রাজনীতির মধ্যে বেড়ে উঠে নিজেকে বর্তমান পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন ।

স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন তিনি। সুখে-দুঃখে যেকোনো মুহুর্তে দলের প্রতীক উড়িয়ে রেখেছেন এই আ. লীগ নেতা। তিনি চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ার কোর্স সফলতার সাথে সমাপ্ত করেন।

মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মকছুদুল হক ছুট্টু গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন নিজের রাজনীতি জীবনের ইতিহাস। এই রাজনৈতিক নেতার জীবন ছিল নানা প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতায় ভরপুর। তবুও তিনি সব বাধাকে জয় করে এগিয়ে যাচ্ছেন।

১৯৬৫ সালের কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ইলিশিয়া চোয়ারফাড়ির মরহুম মোহাম্মদ ইছহাকের সুযোগ্য পুত্র। তাঁর মায়ের নাম মরহুমা বদিউন্নেছা। তাঁর বাবা মরহুম মোহাম্মদ ইছহাক স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিলেন। তাঁর বাবা ও মা ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও সাধারণ মানুষের সাথে জীবনযাপন করতেন।

মরহুম মোহাম্মদ ইসহাক ও মরহুমা বদিউন্নেছা’র ইচ্ছা ছিল তাঁদের সুযোগ্য ছেলে মকছুদুল হক ছুট্টু বড় হয়ে হয়ে গরীব, দুঃখী ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসবেন। পিতা-মাতার ইচ্ছাকে লালন করে তিনি প্রতিনিয়ত মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন এবং এই সেবাকে মহান সেবায় পরিণত করার জন্য তিনি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

তিনি স্কুল জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৫-৮৬ সালে তিনি চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৮৭-৯০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, ১৯৯৩-৯৭ সাল পর্যন্ত পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৭-২০০৩ সাল পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক, ২০০৩-২০০৬ সাল পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্নসম্পাদক, ২০০৬-২০১৩ সাল পর্যন্ত মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক এবং ২০১৩ সাল থেকে অদ্যবদী মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

এছাড়াও তিনি ২০১৪ সাল থেকে অদ্যবদী মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পপালন করে যাচ্ছেন। ২০১৩ সালে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর পদে সভাপতি হিসাবে নির্বাচন করেন এবং সামান্য ভোটে তিনি পরাজিত হন।

তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী ও সংগঠক হিসেবেও জনমুখে পরিচিত। তিনি একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হয়েও প্রতিনিয়ত মানুষের সেবা করার জন্য এলাকায় ব্যস্ত থাকেন। নৈতিকতা তাঁর একমাত্র হাতিয়ার। তিনি কোনো অবস্থাতেই নীতি বিসর্জন দেন নি বলে জানিয়েছেন।

মকছুদুল হক ছুট্টু রাজনীতির পাশাপাশি এলাকায় শিক্ষার প্রসারসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজে জড়িত রয়েছেন। তিনি বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা, মক্তব ও কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তিনি বর্তমানে চৌয়ারফাড়ি আইডিয়াল স্কুলের সভাপতি, পোকখালী রেড ক্রিসেন্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ পরিচালনা কমিটির বর্তমান সদস্য, চৌয়ারফাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের বর্তমান সভাপতি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য।

নানা প্রতিকূলতার কারণে চকরিয়া উপজেলা বছরের পর বছর অবহেলিত। চকরিয়ায় আপামর জনগণ এলাকার ভাগ্য উন্নয়নে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস- চেয়ারম্যান পদে মকছুদুল হক ছুট্টুকে দেখতে চান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে চকরিয়ার অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের কাঙ্খিত স্বপ্ন নিয়ে চকরিয়া বাসীকে সাথে নিয়ে উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে চান তিনি ।

তিনি স্বাধীনতার ৪৫বছর পর চকরিয়া আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এমপি জাফর আলমের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও সমৃদ্ধ চকরিয়া গড়ে তোলার জন্য তাঁর সঙ্গি হতে চান। তিনি নির্বাচিত হয়ে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে একটিবার সুযোগ চান।

প্রকৃত সেবাদানের মানসিকতা নিয়ে তিনি চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা ঘোষণা করায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা ও দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের নাগরিক সমাজ তাঁকে আন্তরিকভাবে উৎসাহ প্রদান করছেন এবং যোগাযোগ মাধ্যম পেসবুকে তাঁর সমর্থকরা প্রতিদিন ছবিসহ বিভিন্ন পজেটিভ স্ট্যাটাস দিচ্ছেনদ। এছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর পক্ষে প্রতিবেদ প্রকাশিত হচ্ছে।

কক্সবাজার-১ আসনের সদস্য সংসদ জাফর আলমের ঘনিষ্ঠ সহচর মকছুদুল হক ছুট্টু ভাইস- চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে চকরিয়া উপজেলা পরিষদকে সত্যিকার অর্থে সেবামূলক ও জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। চকরিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য় ফিরিয়ে আনা, উপজেলাবাসীর জলবদ্ধতা নিরসনসহ স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণ করে তাঁর পরিকল্পনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সর্বপ্রথম তিনি এসব কাজ বাস্তবায়ন করবেন। তাঁর সাথে সাথে চকরিয়াকে ক্লিন-গ্রিন শহর ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ বান্ধব, আধুনিক এবং নান্দনিকতায় পরিনত করাই তাঁর মূল লক্ষ্য।