ডেস্ক নিউজ:

দেশে প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রদের ড্রপ-আউটের (ঝরে পড়া) হার বাড়ছে। তবে ছাত্রীদের ঝরে পড়া কমেছে।

জানা গেছে, ২০১২ সালে ছাত্র ড্রপ আউটের হার ছিল ৩৪.০৯ শতাংশ। ২০১৮ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশে। উল্লিখিত সময়ে ছাত্রীদের হার ছিল ৫২ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে হয়েছে ৪০ দশমিক ১৯ শতাংশ।

ছাত্রদের ড্রপ আউটের হার বৃদ্ধিকে আশঙ্কাজনক মনে করছেন খোদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে ড্রপ আউটের সঠিক কোনো কারণ জানা নেই উল্লেখ করে তারা মনে করেন, উপবৃত্তির কারণেই হয়তবা ছাত্রী ঝরে পড়ার হার কমছে।

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোয় (ব্যানবেইস) অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ২০১৮ সালের বার্ষিক শিক্ষা জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন ব্যানবেইসের বিশেষজ্ঞ শেখ মো. আলমগীর।

ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এবং করিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরসহ প্রমুখ।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সর্বাধিক সংখ্যক ৫৯ শতাংশ ছাত্রী শিক্ষায় যুক্ত। সবচেয়ে কম টাঙ্গাইলে ৫০ শতাংশ। তবে সারাদেশে ৫৪ শতাংশ ছাত্রী শিক্ষায় যুক্ত।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের অনুপস্থিতি শিক্ষার মান অবনতির অন্যতম কারণ। তাই পরিসংখ্যানে অনুপস্থিত শিক্ষকদের তথ্য থাকা দরকার। শিক্ষাবিষয়ক তথ্য সঠিকভাবে সন্নিবেশ, তথ্যের বিশ্লেষণ এবং সঠিক কাজে লাগানোর মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য শুধু পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান অর্জন নয়, নৈতিকতা, আদর্শসহ পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, জীবন-যাপন পদ্ধতি নিয়ে হীনমন্যতার কোনো কারণ নেই। শিক্ষা ব্যবস্থারও সুদীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। শিক্ষার উন্নয়নে সঠিকভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, অনেকেই শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের কথা বলেন। কিন্তু পরিসংখ্যানের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নীতিমালা করতে হবে তবেই মান সম্পন্ন শিক্ষার নিশ্চয়ত করা সম্ভব হবে।