ইমাম খাইর, সিবিএন:
সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজার জেলাতেও আজ (শনিবার) ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে এর ভিতরে থাকা সবটুকু তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ৬ মাসের কম বয়সী, ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো যাবে না।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, কক্সবাজার জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৫৪ হাজার ১৮৪ জন শিশু ‘নীল রঙ’ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৩০ জন শিশুকে ‘লাল রঙ’ এর ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
মারাত্মক অসুস্থ ছাড়া ৫ থেকে ৫৯ মাস বয়সী যে কোনো শিশু ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে পারবে। শিশুদের ভরপেটে ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
কক্সবাজার জেলায় স্থায়ী ৯টি, অস্থায়ী ১৮৪০টি, ভ্রাম্যমান ২৭টি ও অতিরিক্ত ৭৫ টি টিকাদানকেন্দ্র রয়েছে।
সব মিলিয়ে ১৯৫২টি কেন্দ্রে ২৩৫ জন স্বাস্থ্য সহকারী কাজ করবে।
এছাড়াও ২১১ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী, ৫৪০৭ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ২১৯ জন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োজিত রয়েছে।
৯০ শতাংশ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ আবদুল মতিন।
তিনি বলেন, অন্ধত্বের হার কমানো ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রতি বছর জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচি গ্রহণ করে।
৭ ফেব্রুয়ারী বিকালে সাংবাদিক অবহিতকরণ সভায় সিভিল সার্জন এসব তথ্য জানান।
তার মতে, ভিটামিন এ ঘাটতি পূরণ করার মাধ্যমে শিশু মৃত্যুর হার ২৩ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।
৪ মাস আগে যারা ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়েছে এবং মারাত্মক অসুস্থ এমন কোন শিশুকে ক্যাপসুল দেওয়া হবে না।
শিশুদের রাতকানা ও অপুষ্টি দূর করতে ১৯৭৪সাল থেকে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচ্ছে। যখন এই কার্যক্রম গ্রহণ করেন তখন ০৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল ৩.৭৬ শতাংশ। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচেই রয়েছে।