সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
“যে কবিতা শুনতে জানে না
সে ঝড়ের আর্তনাদ শুনবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে দিগন্তের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
যে কবিতা শুনতে জানে না
সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে।”

কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ষাটের দশকের শক্তিমান কবিদের একজন। বাহান্নের ভাষা আন্দোলন ছিলো তাঁর কাব্য রচনার মূল প্রেরনা। এই ভাষা আন্দোলনের ওপর লেখা তাঁর একটি কবিতাতেই পাই এক শহীদ ছাত্রের জননী কিভাবে দেশ জননী হয়ে যান আমাদের কাছে। পঞ্চাশের দশকে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ প্রধানত লিখতেন ছড়া। এই সময়ে তিনি কিছু বিদেশি কবিতারও অনুবাদ করেছেন। প্রায় তিরিশ বছর ছড়ায় নিজেকে প্রকাশ করার পর তিনি কবিতার মূলধারায় কাজ করতে শুরু করেন। গদ্যকবিতা তাঁর উচ্চারনের অবলম্বন হয়ে দেখা দেয়।

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর উদ্যোগে কবির জন্ম-জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তাগণ এসব কথা বলেন। একাডেমীর ৪৪০তম পাক্ষিক সাহিত্য সভায় কবির জন্ম-জয়ন্তী পালন করা হয়।

একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ৮ ফেব্রুয়ারি শহরের এন্ডারসন রোডস্থ একাডেমীর কার্যালয়ে সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত হয়।

একাডেমীর সাধারণ কবি রুহুল কাদের বাবুলের সঞ্চালনায় অণুষ্ঠানে একাডেমীর অর্থ সম্পাদক কবি মোহাম্মদ আমিরুদ্দীন কবির সাহিত্য কর্মের মূল্যায় নিয়ে আরোচনা করেন ও নির্বাহী সদস্য ছড়াকার জহির ইসলাম কবির জীবনালেখ্য পাঠ করেন। অন্যদের মধ্যে একাডেমীর স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান কবি সুলতান আহমেদ ও স্থায়ী পরিষদের সদস্য গবেষক নূরুল আজিজ চৌধুরী আলোচনা করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তাগণ আরো বলেন, “আমি কিংবদন্তির কথা বলছি” থেকে কবির কাব্যে আসে নতুন বাঁক। দীর্ঘ এই কবিতাটি প্রকাশিত হবার সংগে সংগে বাংলা সাহিত্যের কবিতা প্রেমি মানুষ আবিস্কার করেন এক নতুন আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ। কবিতাটি অসামান্য জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তারপর একই ধারায় আমরা পেতে থাকি “বৃস্টি ও সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা” এবং “আমার সময়”-এর মতো মহৎ কবিতা। দেশ, কাল এবং ঐতিহ্য আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ কবিতায় ব্যক্তির আর্তি ও সংকট, সংগ্রাম ও আকাঙ্খার সঙ্গে যুক্ত হয়ে উঠে এসেছে।

আতিকুর রহমান রাব্বি কবির দুটি বিখ্যাত কবিতা আবৃত্তি করেন।