রিয়াজুল হাসান খোকন, শামলাপুর, টেকনাফ:
টেকনাফ উপকূলীয় এলাকায় পুলিশ বিজিবির পৃথক অভিযানে সাগর পথে অবৈধ ভাবে মালিশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে প্রায় ৫০ রোহিঙ্গাসহ ৩ দালালকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাট্যালিয়ানের আওতাভূক্ত বাহারছড়া অস্থায়ী ক্যাম্প ও চেকপোষ্টের ইনচার্জ নায়েক সুবেদার মোঃ সালাহ উদ্দীন জানান বাহারছড়া নোয়াখালী পাড়া নামক স্থানে কিছু রোহিঙ্গা সাগর পথে অবৈধ ভাবে ফিশিং ট্রলার করে মালিশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিক্তিতে আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৮ রোহিঙ্গা নারী, পূরুষ, ও শিশুসহ স্থানীয় এক দালালকে আটক করি। তার মধ্যে ১১ জন নারী, ৪ জন শিশু, ও ৩ জন পূরুষ রয়েছে। আর আটককৃত মানবপাচারকারী দালাল হচ্ছে বাহারছড়া জাহাজপুরা গ্রামের নিবাসী মোঃ হাবীব উল্লাহ। এদিকে অবৈধ ভাবে সাগর পথে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা মালিশিয়া যাওয়ার জন্য সংঘটিত হয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিক্তিতে টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে গত ৭ ফ্রেরুয়ারী রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাহারছড়া বড়ডেইল ও শামলাপুর নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০ রোহিঙ্গা নারী, পূরুষ, ও শিশুকে আটক করে পুলিশ। এসময় পুলিশ দালাল চক্রের সদস্য মোঃ মামুন নামে বড়ডেইল এলাকার স্থানীয় এক ব্যক্তিকেও আটক করে। অন্যদিকে গত ৭ ফ্রেরুয়ারী রাত সাড়ে ১১ টা সময় টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের শাহপরীর দ্বীপ বিওপির নায়ক মোঃ শিকদার শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মানব পাচারের গোপন সংবাদের ভিক্তিতে শাহপরী দ্বীপের স্থানীয় গোলার চরে অভিযান চালিয়ে টেকনাফ হ্নীলা দমদমিয়ার আবদুল করিমের পূত্র মোঃ হুমায়ুন (১৮) সহ ১২ রোহিঙ্গাকে আটক করে বিজিবি। তার মধ্যে ৩ জন পূরুষ, ৬ জন নারী, ও ৩ জন শিশু রয়েছে। আর উক্ত অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এম আছাদুদ জামান চৌধুরী ও টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম।এদিকে টেকনাফে প্রশাসনের উদ্যোগে মানবপাচাররোধে বিভিন্ন সচেতনমুলক সভা সেমিনার ও র্যালি হলেও এক শ্রেণীর মানবপাচারকারী দালালরা প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অব্যাহত আছে মানবপাচারের চেষ্টায়। তাই সচেতন মহলের দাবী ইয়াবা পাচার রোধে প্রশাসনের শক্ত অবস্থানের মত মানবপাচার রোধেও একই অবস্থান নিতে হবে। তাহলে ঝুঁকিপূর্ণ এই মানবপাচার রোধ করা যাবে।