সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কাজী রাসেল আহম্মদ নোবেল। জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কাজী তোফায়েল আহম্মদের সুযোগ্য সন্তান। যার শিশুকাল থেকেই জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানের সাথে বেড়ে উঠা। স্কুল জীবনে রাজনৈতিক পদাপর্ন ঘটে ‘শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ’ সংগঠনের মধ্য দিয়ে। বাবার আদর্শের পথ ধরে নিজেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলছেন নিজেকে। কাজী রাসেল রাজনীতির পাশাপাশি এলাকার যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, পর্যটকদের সেবা দেয়া সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে হয়ে উঠেছেন তরুণ জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ালেও সেই ‘ক্ষেত্রটা’ প্রায়ই সীমাবদ্ধ। কিন্তু বৃহৎ পরিসরে জনগণের সেবা ও এলাকার উন্নয়ন করার জন্য এবার জনপ্রতিনিধি হতে চান তিনি। জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন কাজী রাসেল।

বরাবরের মত জনগণের শতভাগ চাহিদা পূরণে ইচ্ছুক কাজী রাসেল। ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী হয়ে তাঁর অঙ্গিকার হলো- নতুন কোন প্রতিশ্রুতি নয়, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা-ই তার প্রধান লক্ষ্য।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকাবাসির চাহিদা অনুযায়ী কাজী রাসেল আহম্মদ নোবেল বৃহত্তর লাইট হাউস যুব সমাজ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে যুবকদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি কক্সবাজার কটেজ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি, স্টুডিও মালিক কল্যাণ সমবায় সমিতি’র সভাপতি, সমুদ্র সৈকত সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের আহবায়ক সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থ আদায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে দলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

কাজী পরিবারের ঘনিষ্টজনেরা জানায়, ১৯৮৪ সালে জন্ম গ্রহণ করা কাজী রাসেল আহম্মদ নোবেল ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াকালিন ক্রীড়া সংগঠন শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেই থেকেই তিনি সাংগঠনিক দায়িত্ব নিয়ে রাজনীতিতে পদার্পন করেন।

স্কুল জীবনে কাজী রাসেল ১২ ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তখন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন আবু তালেব ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মো. মাহবুবুর রহমান। এসএসসি পাস করার পরে চলে যান ঢাকায়। ঢাকায় তেজগাঁও কলেজে ভর্তি হন। যুক্ত হন ছাত্রলীগের সাথে। ছাত্র জীবনে তার রাজনৈতিক আইডল হিসেবে ছিলেন তৎকালিন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি লিয়াকত সিকদার, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, মতিউর রহমান মতি যিনি তৎকালিন অভিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি। তার রাজনীতি জীবনের হাতেখড়ি হয় তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুর রহমান খাঁন ইরান। তিনি বর্তমানে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা ২৭ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাদের সংস্পর্শ পেয়ে ছাত্র রাজনীতিতে পোক্ত হন কাজী রাসেল।

ঢাকার রাজনীতির পর বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানের ¯েœহভাজন হিসেবে তাকে ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তীতে তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগে যোগদান করেন। রাজনীতিতে বন্ধু হিসেবে সব সময় পাশে ছিলেন কক্সবাজারের আওয়ামী পরিবারের আরেক উজ্জ্বল নক্ষত্র জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি একেএম মোজাম্মেল হক চেয়ারম্যানের ছেলে কায়সারুল হক জুয়েল। যাদের সাথে কাজী পরিবারের ছিল পারিবারিক সর্ম্পক।

যুব সমাজের কাছে অন্যন্য এক আইডল কাজী রাসেল। যুবকদের সুস্থ্য জীবন-যাপনে তিনি নানাভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। মাদকাসক্ত যুবকদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে তিনি নীরবে কাজ করছেন। তিনি অন্তত ১৫ জন মাদকাসক্ত যুবককে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা করিয়েছেন। তারমধ্যে ৮ জন যুবক চাকরী ও ব্যবসার মাধ্যমে সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করছেন। এতিমখানায় সহযোগিতা সহ নানা ধরনের কল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছেন কাজী রাসেল।

পর্যটকদের সেবা প্রদানেও কাজী রাসেলের ভুমিকা প্রশংসনীয়। বিপদগ্রস্থ পর্যককে নিরাপদে বাড়ি পৌছে দেওয়ার মত অনেক কাজ করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন তিনি। প্রথমবারের মত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো কটেজ জোনে সিসিটিভি ক্যামরার আওতায় আনেন তিনি। কজেট জোনে ব্যক্তি উদ্যোগে সড়কের উন্নয়নের কাজ করেছেন। লাইটিং এর মাধ্যমে করেছেন পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা।

নির্বাচনের বিষয়ে কাজী রাসেল আহম্মদ নোবেলের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার প্রত্যাশা একটাই প্রতিশ্রুতি নয়, জনগণের প্রাপ্ত ‘হক’ পূরণ করা। শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত উপজেলা পরিষদের প্রত্যেকটা টাকা যেন পাই পাই ভাবে জনকল্যাণে খরচ হয় সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

কাজী তোফায়েল আহম্মদের সুযোগ্য সন্তান কাজী রাসেল আহম্মদ নোবেল সহ তার প্রত্যেক সন্তানই আওয়ামী রাজনীতির মাধ্যমে জনকল্যাণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর বড় সন্তান কাজী মোরশেদ আহম্মদ বাবু পৌর আওয়ামীলীগের এক নাম্বার সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তার বড় ভাই সাবেক ছাত্রনেতা কাজী মোস্তাক আহম্মদ শামীম হলেন জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক।