এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওর আর রামুর ঈদগড়ে কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে চাষীরা। দাম নিয়েও সন্তুষ্ট ওরা। কারণ এ বছর অনুকুল আবহাওয়ায় কুলের আকার আকৃতি ও স্বাদ বেড়েছে। চাহিদা ও বেড়েছে। ঈদগড়ে বাণিজ্যিক ভাবে বাউকুল জাতের কুলের চাষ হয়েছে। এসব কুলকে ঘিরে ঈদগড় বাজারে জমছে পাইকারী ব্যবসা। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম করে কুল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পাহাড়ী এলাকা ঈদগড়জুড়ে কুলচাষে খ্যাতি রয়েছে।
গাছে গাছে কুল ঝুলে রয়েছে। কৃষকরা বাগান থেকে কুল সংগ্রহ করছেন মোকামে নেয়ার জন্য। অনেকে আবার প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে বাগান পরিস্কার করছেন। বাগান জুড়ে উৎসবের আমেজ চাষীদের। ঠিক একই ভাবে ঈদগাঁওর ভাদীতলা ও কালিরছড়া এলাকাতেও অল্প জমিতে কুল চাষ করেছেন চাষীরা। তারাও মোটামুটি ভাবে দাম নিয়ে সন্তুষ্ট রয়েছে বলে জানা গেছে।
আবুহেনা নামের একজন কুল চাষী আটখানি জমিতে বাউকুলের আবাদ করে। এবছর অনুকুল আবহাওয়ার কারণে কুলের আকার-আকৃতি বেড়ে কুলের ওজন বৃদ্ধি হয়।
ফজল করিম নামের আরেক কৃষকের মতে, কয়েক বছর কুলের আবাদে লাভ হয়নি। উৎপাদন কম হওয়ায়, আকার-আকৃতিতে বড় না হওয়ায় কুল চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবার অনুকুল আবহাওয়ায় উল্টোচিত্র। আকার-আকৃতির সাথে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে কুল চাষীদের মুখে হাসি ফুটে উঠে। উৎপাদন খরচ হলেও ফলন বৃদ্ধি ও দাম ভালো পাওয়ায় বিগত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন তারা। এ বছর নতুন কুল বাগান বৃদ্ধি পেয়েছে।