ইমাম খাইর, সিবিএন:
দুবাইয়ের মাটিতে ক্রিড়াঙ্গনে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন কক্সবাজারের তৌহিদুল ইসলাম।
ইউএইতে জন্ম নেয়া ও বেড়ে ওঠা এই বাংলাদেশী তরুণ খেলোয়াড় কেবল সেদেশে নয়, ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিড়াঙ্গণেও বেশ সাফল্যে অভিষিক্ত হয়েছেন। বেশ ক’টি পুরস্কারও জিতেছেন। টিভির পর্দায় দেখা গেছে বেশ কয়েকবার।
২০১১ সালে ভারতের জাতীয় পর্যায়ের লীগ টুর্ণামেন্টে সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পান তৌহিদ। মিডলসেক্স ইউনিভার্সিটির ভলিবল প্রতিযোগিতায়ও ‘মোস্ট ভেলুয়েভল প্লেয়ার’ নির্বাচিত হন। স্কটেন হাইলেন্ট গেমস-২০১৮তে তৌহিদদের টিম বিজয়ী দলের শিরোপা পায়। এর আগের বছর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ‘একটিভ নেশন বীচ ভলিবল-২০১৭তে টুর্ণামেন্টে বেস্ট খেলোয়াড় ছিলেন বাংলাদেশের ছেলে তৌহিদ।
তৌহিদেরা স্বপরিবারে দুবাইয়ে বসবাস করলেও তাদের গ্রামের বাড়ি উখিয়ার মরিচ্যার পাতাবাড়ি। তার পিতা মুফিজুর রহমানও একজন সফল ক্রিড়াবিদ।
দুবাইয়ের মানিপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম। প্রবাসে থেকেও সেদেশে ভলিবলসহ বিভিন্ন ক্রিড়াতে নৈপুণ্যতা দেখিয়েছে বাংলাদেশি এই খুদে ক্রিড়াবিদ।
সেই সাফল্যের স্বপ্নমানুষটি এখন দেশে। অবস্থান করছে পৈত্রিক গ্রামে।
এই সুবাদে খুদে এই তারকাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় কক্সবাজার নিউজ ডট কম (সিবিএন)-এর স্টুডিওতে।
প্রতিবেদকের কাছে প্রতিক্রিয়ায় কৃতি খেলোয়াড় তৌহিদুল ইসলাম বলেন, খেলায় আমি বেশ মজা পাই। আমার আব্বু বেশ ফুটবল খেলতেন। ছোটবেলা থেকেই খেলার প্রতি আমার আগ্রহ। সুযোগ পেলে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলব। ক্রিড়া তারকা তৌহিদুল ইসলামেরা ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার বড়। একটি বোন জর্জিয়ার তিবিলিসি মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে এমবিবিএস-এ পড়াশোনা করছেন। বাকী দুই ভাই ইউএইতে স্কুলে পড়ছে। মা সায়মা শারমিন রহমান তৌহিদার বাবার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের এমডি।
জানতে চাইলে তৌহিদুল ইসলামের পিতা মুফিজুর রহমান বলেন, আমার সন্তান খুবই প্রতিভাবান। বিদেশের মাটিতে বিভিন্ন ক্রিড়ায় বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশের ক্রিড়া প্রতিষ্ঠানগুলো তার প্রতিভাকে কাজে লাগাতে পারে।
তিনি বলেন, প্রবাসে আমার ছেলে তৌহিদের মতো আরো অনেক প্রতিভা রয়েছে। তাদের প্রতিভাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অনেক সুনাম বয়ে আনবে।