আমাকে নয়, পার্বত্য এলাকার মানুষদের মর্যাদা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী -বীর বাহাদুর

প্রকাশ: ৭ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৩:৪৫ , আপডেট: ৭ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৪:০৬

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মো.শফিউল্লাহ, সহসভাপতি ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরীর নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুরকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মো.শফিউল্লাহ, সহসভাপতি তসলিম ইকবাল চৌধুরীর নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

বিশেষ প্রতিবেদক:
পার্বত্য জেলা বান্দরবান থেকে প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হলেন বীর বাহাদুর উশৈসিং, যিনি টানা ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই মর্যাদা তিনি পার্বত্য এলাকাবার মানুষদের উৎসর্গ করেছেন।  সেই সাথে দায়িত্ব পালনে সবার পরামর্শ, সহযোগিতা কামনা করেছেন।

বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, এই মন্ত্রীত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িবাসীর জন্য উপহার। পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হচ্ছি, আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেলো। নির্বাচনী এলাকার মানুষ বারবার ভোট দিয়ে আমাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, ভিশন-২১ এর পর এবার উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণে তৈরি হচ্ছে ‘রূপকল্প-২০৪১’। এজন্য নতুন অর্থনৈতিক রূপরেখা তৈরি করছে সরকার। আগামি ২০৪১ সাল সামনে রেখেই বর্তমান সরকার সব অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সর্বক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রীর সহযাত্রী হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে নিরন্তর।

পার্বত্য চট্টগ্রামকে আধুনিক এবং আকর্ষণীয় অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর।

এদিকে, বান্দরবান ৩০০ নং সংসদীয় আসন থেকে ৬ষ্ঠ বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও পাহাড়সম জনপ্রিয় নেতা বীর বাহাদুর উশৈসিং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মন্ত্রীর ঘনিষ্টজন হিসেবে খ্যাত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মো.শফিউল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য কেনওয়ান চাক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান মেম্বার।

ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকা অবস্থায় ১৯৮৯ সালে স্থানীয় সরকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন বীর বাহাদুর। ১৯৯১ সালে বান্দরবান (৩০০ নম্বর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন তিনি।

১৯৯৮ সালে উপমন্ত্রী এবং ২০০৯ সালে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় বীর বাহাদুরকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে তাকে দেয়া হয়েছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।