ডেস্ক নিউজ:
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের নির্যাতিত গৃহবধূকে দেখতে গেছেন আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলম। শনিবার সকালে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নির্যাতিত গৃহবধূ ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

এ সময় হিরো আলম বলেন, গরিব-গরিবের দুঃখ বোঝে, তাই আমি এতদূর থেকে ছুটে এসেছি । এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। আমি চাই তাদের ফাঁসি হোক, এমন ঘটনা যেন আর বাংলার মাটিতে না ঘটে।

হিরো আলম বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন আমাকেও মারধর করা হয়েছে। আমার বিচার পরে, আগে আমার এই বোনকে নির্যাতনকারীদের বিচার করুন।

নোয়াখালী হাসপাতাল থেকে হিরো আলম পরে সুবর্ণচরে নির্যাতিত গৃহবধূর বাসায় যান। সেখানে তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন এবং সান্ত্বনা দেন।

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ছিল। ওই নারী ধানের শীষে ভোট দিয়ে ফেরার পথে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন। এরপর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১০ জন মিলে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। সেই সঙ্গে ওই দম্পতি এবং তাদের সন্তানদের পিটিয়ে জখম করে তারা।

এরপর সকালে সেই নারীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেই নারীকে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে জখম করার আলামত পাওয়ার কথা জানান। পরে এ নিয়ে সেই নারীর স্বামী চরজব্বার থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনার নির্দেশদাতাসহ মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।