বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদর থানাধীন কালিরছড়া গ্রামের দশ হাজার সাধারন মানুষ রয়েছে অপহরন আতঙ্কে।গত দুই সপ্তাহে একই গ্রাম থেকে চারজনকে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায় করে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গত ২রা জানুয়ারী রাত আনুমানিক দুইটার দিকে কালিরছড়া শিয়া পাড়ার মমতাজ আহমদ পূত্র মজুম তাহের ও একই এলাকার মমতাজ মাঝির পূত্র ফরিদুল আলমকে ১১ জনের সশস্ত্র দল অপহরণ করে।প্রথমে তাদেরকে ভোমারিয়াঘোনা রেঞ্জ অফিসের পুর্বপাশে গহীন অরণ্যে হাত পা বেধে ঝিরির মধ্যে রাখা হয়।তাদের অবিভাবকদের কাছে ফোন করে ৪ লক্ষ টাকা চাদা দাবী করা হয়।অনেক দেনদরবার করে পরদিন রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে শিয়া পাড়ার পূর্বে পাহাড়ী এলাকা দু’মোয়া নামক স্থান থেকে ৩৭ হাজার মুক্তিপন দিয়ে অপহরন চক্রের কবল থেকে মজুম তাহের ও ফরিদ ছাড়া পান।

মজুম তাহের ও ফরিদ দুজুনই কাঠুরিয়া তাই এদের পক্ষে এর বেশী মুক্তিপণ দেয়া সম্ভব ছিলনা।

ভিকটিম ফরিদ জানান,আমি দিনমজুর কাজ করে সংসার চালাই কিন্তু এখন এত টাকা কর্জ কিভাবে শোধ করবো জানিনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বন জায়গীরদার জানান,সম্প্রতি একজন মানবপাচার ও হত্যা মামলার আসামী জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে বর্তমানে গহীন অরণ্যে অবস্থান করে দলকে পরিচালনা করছে।আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি,চাষাবাদ করতে পারছিনা।সরেজমিনে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

একপ্রশ্নের জবাবে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কমিউনিটি পুলিশের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন সোনা মিয়া জানান,পাচশত একর জমি অনাবাদি,মানুষ পাহাড়ে যেতে পারছেনা। শত বছর আগে থেকে শুকনো লাকড়ি কেটে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করা অত্র এলাকার মানুষের পেশা কিন্তু সেই বনভুমি আজ সন্ত্রাসীদের সবর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।জীবিকা নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।প্রশাসনের কাছে আবেদন,অনতিবিলম্বে চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেফতার করুন।

উল্লেখ্য যে, গত বছর পুলিশের সাথে সংঘর্ষে কলখাজি ঘোনা এলাকায় একজন ডাকাত নিহত হয়েছিল কিন্তু স্থায়ী সমাধান সম্ভব হয়নি।কদিন পরপর অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করাটা একটি অলিখিত নিয়মে পরিনত হয়েছে এমনকি স্থানীয় কিছু সুন্ত্রাসী সক্রিয়ভাবে তাদের সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারনা করছে অভিজ্ঞমহল তাই আবারো অপহরণের ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে অজানা আতংক বিরাজ করছে।