সংবাদদাতা:

রামুর কচ্ছপিয়ায় নৌকার অফিসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) গর্জনিয়া ফাঁড়ী পুলিশ ৪ বিএনপি নেতাকে আটক করেছে। ফাঁড়ী পুলিশের আইসি মোঃ আলমগীর জানান রামু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবুল মনসুরের নির্দেশ পেয়ে নৌকার অফিসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে চার আসামীকে আটক করা হয়েছে।

তারা হলেন ইউনিয়নের ফাক্রিকাটা গ্রামের মৃত নুর আহাম্মদের ছেলে মোোঃ শফি (৬০) ফাক্রিকাটা মুরার কাচা এলাকার মৃত ইসহাকের ছেলে সাইফুল (৪৫) তিতার। পাড়া গ্রামের ফার্মেসী ব্যবসায়ী মোঃ ফরিদ (৩৫) ও দোছড়ি এলাকার মৃত টান্ঠা মিয়ার ছেলে মোঃ শাহা আলম (৩৮)। মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) আটক ৪ জনকে বেলা ১১ টায় গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে রামু থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।

অভিযোগ মতে, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের তুলাতলী টেক নামক স্থানে কক্সবাজার ৩ (সদর রামু) আসনের নৌকা প্রতীক তথা মহাজোট মনোনীত প্রাথী সাইমুম সরওর কমলের একটি নির্বাচনী অফিসে গত ২৩ ডিসেম্বর কে বা কারা আগুন দেয়। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির দুই দলের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে।

ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক এম সেলিম বলেন, আমাদের নির্বাচনী এ অফিস রাতের আধারে বিএনপি ও জমায়েতের নেতারা এই সব করতে পারে। তিনি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দারী জানান।

অপর দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দিদারুল আলম সিকদার বলেন, কোন বিএনপি, জমায়ত এই কাজ করতে পারে না। কারণ বিএনপি, জমায়ত পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ভয়ে গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার কোন স্থানে অফিস করতে পারছে না এমনকি দুই ইউনিয়নে ধানের শীষের সব পোস্টার চিড়ে পেলেছে নৌকা সমর্থকরা।

তিনি আরো জানান  ২৩ তারিখ সন্ধায় তুলাতলীর টেকে একটি পরিত্যক্ত দোকানের সামনে চারটি সুপারী গাছের কুটি দিয়ে উপরে একটি লাল কাপড় দিয়ে এবং কুটির  চার পাশে সুতলি দিয়ে নৌকার পোস্টার লাগানো হয়ে ছিল। একই দিন রাতে তারা নিজেরা আগুন দিয়ে আমাদের নেতা কর্মীর উপর চালিয়ে দেয়। তিনি সাজানো মিথ্যা মামলার গ্রেপ্তার ৪ বিএনপি নেতার মুক্তির দাবী করেন।