ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীর আলম শামসঃ
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের সাত দিন আগে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী, যারা কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে।
দেশের সর্বস্তরের মানুষের আস্থা ও ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত সেনাবাহিনী রোববার দিনগত রাত ১২টার পর থেকে মাঠে নামে।
সোমবার সকাল থেকে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়ি টহল দিতে দেখা গেছে। কক্সবাজার সিটি কলেজ গেইটসহ বেশ কয়েক পয়েন্টে সেনাবাহিনীর অবস্থানও লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচনের ঠিক একসপ্তাহ আগে সেনাবাহিনী মাঠে দেখে সাধারণ ভোটারদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
প্রথম দিনে কক্সবাজারের মতো দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনীর টিম রাস্তায় টহল দিয়েছে। এর মধ্যে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে ৩৮৯টি উপজেলায় এবং নৌবাহিনী কাজ করছে মোট ১৮টি উপজেলায়।
নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু থেকেই বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ, সহিংস হামলা এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে চলেছে। বিরোধীদল বিএনপির পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় সহিংস হামলার অভিযোগ করে আসছে।
ইতোমধ্যে জেলার চারটি সংসদীয় আসনেই হামলা, মামলা, জ্বালাও পোড়াওয়ের ঘটনা ঘটে চলছে। নৌকা মার্কার নির্বাচনি অফিসে আগুন, ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে প্রত্যেক আসনে রেকর্ড পরিমাণ মামলা হয়েছে। পুলিশী বাধায় প্রচার কাজ চালাতে পারছেনা একটি পক্ষ। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট নন বিএনপি ও জোটের প্রার্থীরা। সরকারী দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের প্রত্যাহার চেয়েছে জেলা বিএনপির সভাপতি ও কক্সবাজার-৪ আসনের প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী। এ বিষয়ে তিনি দুইবার সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। অভিযোগ দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে, সারাদেশের মতো কক্সবাজার-০১ (চকরিয়া-পেকুয়া) সংসদীয় এলাকার পাড়া মহল্লার অলিগলিতে সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখে সাধারণ ভোটাররা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে ভোট কেন্দ্রে সুন্দরভাবে ভোট দেয়ার কথা বলতে শুরু করেছেন।
স্থানে রে মনে করছে, সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর চকরিয়া-পেকুয়া উপকূলীয় চিহ্নিত সশস্ত্র সন্ত্রাসিরা গা ঢাকা দিতে শুরু করেছে। এ এলাকার সাধারণ ভোটাররা নির্বাচনের আগে চিহ্নিত সন্ত্রাসিদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, চকরিয়ায় মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৯৯টি ও পেকুয়া উপজেলায় রয়েছে ৪০টি। সর্বমোট ১৩৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী হাসিনা আহমদ দাবি করেছেন, সব ক’টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।