শাহীন মাহমুদ রাসেল :

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কক্সবাজার-৩ আসনে চলছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর প্রচারণা। সদর আসনের বিভিন্ন এলাকায় নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে অলিগলি, পাড়া-মহাল্লা। প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা দিনরাত ব্যস্ত পোস্টার লাগানোর কাজে। তবে,বিভিন্ন জায়গায় রাতের আঁধারে নৌকা কিংবা ধানের শীষের পোস্টার কে বা কারা ছিড়ে ফেলার অভিযোগ করেছেন দু’দলই।

শুক্রবার সকালে পিএমখালী,রামু, ঝিলংজা ও ঈদগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে রাতের আঁধারে কে বা কারা সদর-৩ আসনের মহাজোট মনোনীত প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলের নৌকার ব্যানার পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধমসহ গণমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। অনেকেই এ ঘটনার জন্য ধানের শীষের প্রার্থীর সমর্থকদের দায়ী করে এরকম ন্যাক্কারজনক কাজের নিন্দাও জানিয়েছেন। তারা জানান, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ যারা করতে পারে তাদের নীতি নৈতিকতা বলতে কিছু নেই।

এদিকে, গত কয়েকদিন ধরেই সদর-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল অভিযোগ করেই আসছেন তার কর্মী সমর্থকদের পোস্টার-ব্যানার লাগাতে দিচ্ছেন না সরকার দলীয় ‘ক্যাডার’ এবং সরকারের মদদপুষ্ট বাহিনী। এমনকি তাদের লাগানো ব্যানার-পোস্টার ছিড়ে ফেলার অভিযোগসহ পথসভায় তাদের মাইকের সংযোগ বিচ্ছিন্নেরও অভিযোগ করে আসছেন তিনি। এছাড়াও তাদের নেতাকর্মীদের অহেতুক পুলিশ হয়রানির অভিযোগ তুলেন তিনি। তিনি বলেন, ব্যানার পোস্টার ছিড়ে, নেতাকর্মীদের বাধা দিয়ে, প্রশাসন দিয়ে হয়রানি করে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। ৩০শে ডিসেম্বর জনগণ এর জবাব দিবে।

দলীয় সুত্রে জানা গেছে, দু’দলই ব্যানার-পোষ্টার ছেড়ার লিখিত অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জানাবে। কক্সবাজারের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যেকোন প্রার্থীর পোস্টার ছেড়া নোংরা রাজনীতি। এতে প্রতিহিংসার সৃষ্টি হয়। আর প্রতিহিংসা থেকে সংঘাতের সম্ভাবনা থাকে। যা সুষ্ঠু নির্বাচনের কাম্য হতে পারে না।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু তালেব সিবিএনকে জানান, পোস্টার ছেড়া এক ধরণের মানসিক সংকীর্ণতা। এ ধরণের সংকীর্ণতা নিয়ে মানুষের ভালবাসা সমর্থন আদায় করা যাবে না।

কক্সবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন জিকু পোস্টার ছেড়ার অভিযোগের বিষয়ে এ জানান, প্রচারণা শুরুর দিক থেকেই আমাদের প্রচারণায় বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ব্যানার-পোস্টার ছিড়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রচারণা মিছিল, পথসভা থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা তাদের পোস্টার ছিড়তে যাবো কেনো। তারা নিজেরা নিজেদের পোস্টার ছিড়ে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর পুলিশী হয়রানি বৃদ্ধিতে সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করছে।