আনোয়ার হোছাইন ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর আসনের সংসদীয় এলাকা ঈদগাঁওয়ের রাজনৈতিক পরিবেশ আসন্ন নির্বাচনে কেন্দ্র করে দিন দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পাশাপাশি পুলিশও পিছিয়ে নেই অভিযোগ থেকে । বিভিন্ন সুত্র ও সরেজমিনে জানা যায়,নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার সাথে সাথে অত্র আসনের প্রধান রাজনৈতিক দল যথাক্রমে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ,বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ এসব দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা স্ব-স্ব দলের পক্ষে সক্রিয় হয়ে উঠে।সজামায়াত-শিবিরের কার্যক্রম দৃশ্যমান না হলেও আওয়ামীলীগ ও বিএনপির স্থানীয় নেতা কর্মীরা নিজ নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষে পুরোদমে মাঠে নামে।অত্র সংসদীয় আসনে মহাজোটের পক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল নৌকা এবং বিশ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের হয়ে সাবেক সাংসদ লুৎফর রহমান কাজল ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনী যুদ্ধে নেমেছেন। নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উভয় পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুড়ছে। তাদের পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও বিরোধী জোটের প্রার্থীদের হায়রানি,প্রচারণায় বাঁধা ও আটকের অভিযোগ তুলছে বিরোধী জেটের নেতা কর্মীরা। ইতিমধ্যে বিরোধী জোটের ধানের শীষের নেতা কর্মীরা অভিযোগ তুলছে বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের ঈদগাঁও ভোমরিয়া ঘোনা,পোকখালী,ইসলামপুরে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ধানের শীষের পোষ্টার ছিড়ে ফেলেছে এবং তাদের নেতা কর্মীদের নানা হুমকি ও হায়রানি করছে।অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীরা ইসলামাবাদ ও ইসলামপুরে নৌকা প্রতীকের
পোষ্টার ছেড়ার অভিযোগ তুলেছে বিএনপির বিরুদ্ধে । অপরদিকে বিএনপি ও তাদের জোটের শরীক জামায়াতে ইসলামীর অভিযোগ ,ক্ষমতাসীন দলের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনও তাদের নেতা কর্মীদের হয়রানি করছে,প্রচারণায় বাঁধা সৃষ্টি করছে ।এমনকি সোমবার গভীর রাতে তাদের সমর্থকের অভিযোগে ঈদগাঁও বাজারের মোবারক নামের এক নিরিহ ব্যবসায়ীকে আটক করে কিছুদিন পূর্বে হওয়া গায়েবি মামলায় জেলে পাঠিয়েছে অথচ মামলায় তার নাম ছিলনা। সাধারণ ভোটারদের অভিমত, এ ত্রিমুখি অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ অব্যাহত থাকার কারণে দিন দিন উভয় জোটের নেতা কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে । এক্ষেত্রে প্রশাসন দায়ীত্ববান না হলে আসন্ন নির্বাচনী পরিবেশে বিঘ্ন সৃষ্টির সমূহ আশংকা রয়েছে । বরাবরই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ জামায়াত-শিবিরকে তাদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখলেও বিজয় দিবসের দিন ছাড়া তাদের মাঠে দেখা যায়নি এ পর্যন্ত । এদিকে উভয় জোটের একাধিক নেতা কর্মীর কাছে উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে,তারা প্রতিবেদকের নিকট পত্রিকায় নিজের নাম প্রকাশ না করার অনুরোধসহ প্রতিপক্ষ দলের অভিযুক্ত নেতা কর্মীদের নাম বলতেও অনিচ্ছুক। এক্ষেত্রে তারা উভয় পক্ষ স্থানীয় হওয়ায় পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে এ আশংকায় নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।