মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের মগডেইল ফয়জুল উলুম মাদরাসার মোহাম্মদ এমরান নামক এক চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় শিক্ষকসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। ১৮ ডিসেম্বর সকালে ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনার পর থেকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিকেল ৪ টা পর্যন্ত মাদ্রাসা ঘেরাও করে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিল বলে জানা গেছে।

নিহত মোহাম্মদ এমরান মাতারবাড়ির মগডেইল গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র। মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর মুঠোফোনে সিবিএনকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ছাত্রের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে-শিশু মোহাম্মদ এমরান স্থানীয় ইউনিসিয়া ফয়জুল উলুম মাদরাসায় নুরানি বিভাগে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়তো। গত এক সপ্তাহ সে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত ছিল। শিশুটির মা তার ছেলেকে সাথে নিয়ে সোমবার ১৮ ডিসেম্বর সকালে মাদ্রাসায় গিয়ে ক্লাসে বসিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে আসে। পরে শ্রেণি শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ হামিদ মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে ছাত্রটিকে বেদম মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে যায়। এ সময় শিক্ষকেরা শিশুটি মারা গেছে আশংকা করে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য অজ্ঞান ছাত্রটির গলায় ফাঁস লাগিয়ে দিয়ে মাদ্রাসার জানালার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। ছাত্রটিকে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে শ্রেণী কক্ষটিতে তালা লাগিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকরা দ্রুত পালিয়ে যায়। শিক্ষকের মারধর ও গলায় লাগনো ফাঁস খেয়ে ইতিমধ্যে ছাত্রটি মারা যায়।

ঘটনার পর মাদরাসা অঙ্গনে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

এরমধ্যে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে ঘাতক শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের আটক করে মাদ্রাসায় নিয়ে আসে। শিক্ষকরা মাদ্রাসায় অবরুদ্ধ থাকাবস্থায় বিকেল ৪ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতাকে দোষীদের যথাযথ বিচারের আশ্বাস দিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনে।ছাত্রটির লাশ ও অভিযুক্ত শিক্ষকসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে মহেশখালী থানার উদ্দ্যেশে মাতারবাড়ি থেকে পুলিশ রওয়ানা দিয়েছেন বলে মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর মুঠোফোনে জানান।

পুলিশ বলেছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসাটি বন্ধ ঘোষনা করেছে।