বার্তা পরিবেশক:

কুতুবদিয়ায় নৌকা প্রতীকের সমর্থনে গনসংযোগ ও পথসভায় জনতার ঢল নেমেছে। আশেক উল্লাহ রফিক’কে এক নজর দেখতে রাস্তার দু’পাশে নারী-পুরুষের ব্যাপক উপস্থিতিতে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি যেদিকেই যাচ্ছেন সেদিকেই ব্যাপক সাড়া পড়েছে। তিনি গত ১৬ ডিসেম্বর ও গতকাল কুতুবদিয়ায় উত্তর ধুরুং, দক্ষিণ ধুরুং, কৈয়ারবিল, লেইমশীখালী, আলী আকবর ডেইল ও বড়ঘোপে ব্যাপক গনসংযোগ করেন। এ ছাড়া উত্তর ধুরুং, আলী আকবর ডেইল ও কৈয়ারবিলে পৃথক দুই বিশাল পথসভায় বক্তব্য রাখেন।

তিনি বক্তব্যে বলেন, কুতুবদিয়াবাসীর জন্য আমার শ্রদ্ধা ও ভালবাসা আজীবন থাকবে। বিগত ৫ বছরে এই উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। কুতুবদিয়ায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বিগত সময়ে যিনি সাংসদ ছিলেন তিনি কুতুবদিয়াবাসীর জন্য কিছু না করায় এই উপজেলাকে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আনতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সব সময় কুতুবদিয়াবাসীর পাশে থেকে কাজ করার চেষ্ঠা করেছি। ইতোমধ্যে কুতুবদিয়া প্রধান সড়ক আজম সড়কের কাজ ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়ে রযেছে। এতে ২৮ কোটি টাকা হচ্চে। কুতুবদিয়াকে অবিলম্বে জাতীয় গ্রীডের সাথে সংযুক্ত করে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হবে। সাব-মেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ এখন যাচাই-বাচাই পর্যায়ে রয়েছে। বিগত সময়ে যারা দায়িত্বপালন করেছেন তারা অবহেলা করেছেন বিধায় উন্নয়নে পিছয়ে পড়েছে কুতুবদিয়া। বিগত ৫ বছরে ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে এটি কাঠিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। কুতুবদিয়াবাসীর অন্যতম অর্থনৈতিক ক্ষেত্র লবণের ন্যায্য মুল্য নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। যার ফলে লবণচাষীরা উপকৃত হয়েছেন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে লবণ আমদানি কোনদিনও হবে না।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে কুতুবদিয়ায় নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে একটি মহিলা কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। কুতুবদিয়া কলেজকে জাতীয়করণ করা হয়েছে। নৌকা উন্নয়নের প্রতীক, এ প্রতীক বিজয়ী হলে দেশের উন্নয়ন হয়, সমৃদ্ধি হয় তাই দেশের অগ্রগতি ঠেকাতে একটি চক্র ইতোমধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদের অপ-তৎপরতায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যারা কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদে আগুন দিয়ে কুতুবদিয়াবাসীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তারা আবারো সক্রিয় হয়েছে। তাই দেশের অস্থিত্ব রক্ষায় নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন পথ সভায় বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডঃ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম কুতুবী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আলম সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম কুতুবী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর, সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছফা বিকম, জেলা পরিষদ সদস্য মাস্টার আহমদ উল্লাহ বিকম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা মেহেরুন্নেছা, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ আবু তাহের, আসাদ উল্লাহ, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম, শহীদুল ইসলাম লালা, মিছবাহ উদ্দিন, আলী আকবর ডেইল আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর সিকদার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব, বড়ঘোপ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টিটু, কৈয়ারবিল আওয়ামী লীগের আহবায়ক আজমগীর মাতবর, য্গ্মু আহবায়ক মোসলেম খান ও মোসলেম উদ্দিন, লেইমশী খালী আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিক সিকদার, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, দক্ষিণ ধুরুং এর সভাপতি মোতাবের হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম সিকদার, উত্তর ধুরুং এর সভাপতি শফিউল মোরশেদ, মামুনুল ইসলাম কফিল, জেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবু জাফর ছিদ্দিকী, য্গ্মু আহবায়ক সেলিম উদ্দিন লিটন, যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান তুহিন।

১৬ ডিসেম্বর তিনি মহেশখালীতে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রব্ধা নিবেদন করেন এবং বিজয় র‌্যালির নেতৃত্ব দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম আজিজুর রহমান, মহেশখালীর পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডঃ আবু তালেব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্রজগোপাল ঘোষ ও সেনতু।