হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :

টানা সংগ্রাম, মুক্তিবাহিনী ও ভারতিয় সেনার অভূতপূর্ব আক্রমণে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকা শহরকে৷ পাকিস্তান ভেঙে আত্মপ্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ৷ সেই দিনটি স্মরণ রেখে- কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সকালে গর্জনিয়ার একমাত্র শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান- গর্জনিয়া উচ্চবিদ্যালয়, গর্জনিয়া বিদ্যাপীঠ, পোয়াংগেরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গণশিক্ষা-কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। দিবসটি উপলক্ষে গর্জনিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কন ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রতিযোগিতা। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কায়ছার জাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, গর্জনিয়া ইউপির পাঁচবারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাশেমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ ইউছুপ, সাধারণ সম্পাদক শংকর শর্মা, শিক্ষক ফখর উদ্দিন, আবু মুছা কুতুবি, আসহাব উদ্দিন, মিল্টন দত্ত, আহমদ শাহ বাবুল, সীমলা প্রভা দে, অসিত পাল, রহিম উল্লাহ ও জান্নাতুল ফেরদৌস।

গর্জনিয়া বিদ্যাপীঠে আয়োজিত আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি নিয়ে আলোকপাত করেন- প্রধান শিক্ষক শাহারীয়ার ওয়াহেদ চৌধুরী রাসেল, পরিচালক নাজিম উদ্দিন, শিক্ষক ফাতেমা আক্তার রিনা, তসলিমা আক্তার, শিল্পী রানী শর্মা প্রমূখ।

অন্যদিকে পোয়াংগেরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সুলতান আহমদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক কিশোর কুমার ধর, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আয়েশা খানম চৌধুরী, অভিভাবক শাকের আহমদ, রশিদ আহমদ, মুহিবুল্লাহ চৌধুরী জিল্লু, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার চৌধুরী, শিক্ষক মাহফুজা সিদ্দীকি তুলি প্রমূখ।