নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুতুবদিয়ায় উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)‘র ৭৯ একর জমিতে অবৈধ ভাবে লবণ চাষ করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারী না থাকায় সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব।

জানা যায়, কুতুবদিয়া লবণ চাষি সমিতি গত বছরের ৩০ অক্টোবর বিসিকের ৭৯ একর জমি ১৫১৮০/১৭ নং রিট মূলে ৫ বছরের জন্য লীজ নেয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে সিপি ৩৮৭৮/১৮ মূলে আপিল আবেদন করেন কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মরহুম ডাঃ জাবের আহমদ চৌধুরীর ছেলে মনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী মুকুল। আপিলের প্রেক্ষিতে গত ২১ অক্টোবর কুতুবদিয়া লবণ চাষি সমিতিকে হাই কোর্টের দেয়া ৫ বছরের লীজ আদেশটি স্থগিত করেন মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কুতুবদিয়ার সহকারি মাঠ পরিদর্শক জাকের হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে (০১৮১৯০৩৭১৯২) কথা হলে বিষয়টি প্রথমে অকপটে স্বীকার করেন। পরে সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে বলেন আমি এখন চট্টগ্রামে আছি এবিষয়ে কিছু জানিনা।

আপিল আবেদনকারি মনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী মুকুল বলেন, ‘উচ্চ আদালতের আদেশের সমস্ত কপি বিবাদীগণের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। তারপরও সুপ্রীম কোর্টের আদেশ উপেক্ষা করে বিসিকের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে জেলা বিএনপি নেতা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোছাইনের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত লবণ চাষের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

বিষয়টি নিয়ে লেমশীখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা আকতার হোছাইন জানান, ‘টাকা দিয়ে লবণমাঠ লীজ নিয়েছি তাই জমিতে চাষের জন্য লোকজন নামিয়ে দিয়েছি। সুপ্রীমকোর্টের স্থগিতাদেশ এখনো আমাদের হাতে এসে পৌছায়নি।’

কুতুবদিয়া সমবায় অফিসার কামাল পাশা বলেন, কুতুবদিয়ায় লবণ চাষি সমিতি নামে কোন সমিতি নেই।

আদালতের আদেশ অমান্য করে চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদনের জন্য জমিতে দলবল নিয়ে অবৈধ ভাবে চাষের কাজে নেমে পড়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে সংশিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন প্রন্তিক লবণ চাষিরা।