নিজস্ব প্রতিবেদক :
রামুতে পৃথক অভিযান চালিয়ে দুই ডাকাত সর্দারকে গ্রেফতার করেছে রামু থানা পুলিশ। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের থোয়াংঙ্গাকাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩টি ডাকাতি, একটি শিশু হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী ডাকাত সর্দার আমান উল্লাহ প্রকাশ আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডাকাত আনোয়ার ওই এলাকার শফি সওদাগরের পুত্র।

এরপর বুধবার ভোর রাতে দক্ষিণ মিঠাছড়ি পানের ছড়া ঢালায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাত সর্দার শহিদুল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সাথে থাকা আরও ১৮/২০ জন ডাকাত পালিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত শহীদুল্লাহ দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পানের ছড়া বলি পাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলমের ছেলে। রামু থানার (ওসি) আবুল মনছুর ও তদন্ত ওসির নেতৃত্বে এস আই মংচাই, মহসিন, নুরুল আনোয়ার সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন।

এলাকাবাসী জানান, ডাকাত আনোয়ারের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ট ছিল। সড়ক ডাকাতি ও বাড়ি ডাকাতি ছিল তার পেশা ও নেশা। মানুষ তাকে চিনলেও কিছু বলার সাহস পেত না। কারণ দিনে-দুপরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করে সে। তার বাহিনীতে রয়েছে ১৫/২০ জনের একটি দল। তার দলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীও রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের খবরে এলাকায় স্বস্তি বিরাজ করছে।

অপরদিকে রামুর সংবাদকর্মী আবদুল মালেক সিকদারকে হামলার ঘটনায় জড়িত ডাকাত ফরিদের অন্যতম সহযোগি ছিল গ্রেফতারকৃত ডাকাত শহিদুল্লাহ। ১৪ মার্ডারের ফরিদ্দা, ডাকাত শহিদুল্লাহ ও ডাকাত আনোয়ারের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন ডাকাতের একটি দল আছে। রামুতে যত ডাকাতি হয় সব ডাকাতি তারা করে। ডাকাতদের ভয়ে সাধারণ মানুষ বাড়িতে ঘুমাতে পারেনা। তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করলে রাত্রে গিয়ে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালায়।

রামু থানার ওসি আবুল মনছুর দুই ডাকাত সর্দারকে গ্রেফতার করে আদালতে চালান করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে বলেন, ডাকাত সর্দার আনোয়ার ও শহিদুল্লাহ কুখ্যাত ডাকাত।