নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টের পূর্ব পাশে সৈকত পাড়াস্থ ডিসি পাহাড়ের সমস্ত স্থাপনা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ না করায় আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সশ্বরীরে হাজির হয়ে নিঃশর্তে ক্ষমা চেয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃকামাল হোসেন ও পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।
বুধবার (১৪ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুছ জামান এর বেঞ্চে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এসময় আদালত ভবিষ্যতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে কোন ধরণের গাফেলতি না করতে সতর্ক করে দেন।
দৈনিক বণিক বার্তার কক্সবাজার প্রতিনিধি ও ইয়ুথ এনভায়রণমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলায় জামিন দিয়ে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ এক মাসের মধ্যে ডিসি পাহাড়ের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশদেন। গত ৩ জুলাই এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীরর আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী বলেন,‘ কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টের পূর্ব পাশে সৈকত পাড়াস্থ ডিসি পাহাড়ের প্রায় ৫০ একর জমি দখল করে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ করে পাহাড় কেটে প্লট বিক্রি করে আসছে একটি সিন্ডিকেট। এ পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে দৈনিক বণিক বার্তায় সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি পরিবেশ সংগঠন ইয়েস কক্সবাজারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ১৯ মে জহুরা বেগম নামের এক বিধবা মহিলাকে বাদি সাজিয়ে ইয়েস কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ও দৈনিক বণিক বার্তারর কক্সবাজার প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ মামুনের বিরুদ্ধে একটি সাজানো ও মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন পরিবেশ বিরোধীরা। পরে পুলিশের তদন্তেও মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
এ ব্যাপারে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনার বিষয়টি না জানার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ করা হয়নি। বিষয়টি জানার পর এক সপ্তাহের মধ্যে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।’
পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন বলেন,’ আমি কক্সবাজারে যোগদান করেছি আদালতের ওই নির্দেশনার অনেক পরে। তাই বিষয়টি জানার পরপরই আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’
”দৈনিক বণিক বার্তার কক্সবাজার প্রতিনিধি ও ইয়ুথ এনভায়রণমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, আদালতের এ নির্দেশনাটি ঐতিহাসিক। কারণ আদালতের এ নির্দেশনার ফলে একজন পরিবেশকর্মী ও সাংবাদিকের অধিকার ফিরে পেয়েছেন অপরদিকে পর্যটন এলাকার সৌন্দর্যের প্রতীক গুরুত্বপূর্ণ একটি পাহাড় সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ মামুনকে আইনী সহযোগীতা দিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি(বলা)।