এস. এম. রুবেল, মহেশখালীঃ

অাসন্ন নির্বাচনে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) অাসনে মহেশখালী থেকে ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন সরকার দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য অালহাজ্ব অাশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অালহাজ্ব অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা, পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. অানছারুল করিম, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার আজম বিএ, সাবেক ছাত্রনেতা ওসমান গণি ওসমান, সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী ইসমত অারা ইসমু সহ বেশ ক’জন।

এদিকে অাওয়ামীলীগ থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন ফরম ক্রয় করলেও অালোচনার শীর্ষে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য অালহাজ্ব অাশেক উল্লাহ রফিক ও পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. অানছারুল করিম। কিন্তু হঠাৎ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অালহাজ্ব অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা নির্বাচনে অংশ নিতে মাঠে সক্রিয় থাকায় মনোনয়নের মোড় ভিন্ন পথে এগোতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে।

অপরদিকে সাবেক ছাত্রনেতা ওসমান গণি ওসমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী ইসমত অারা ইসমু এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ায় তাদেরকেও বাদ দেয়া যাচ্ছেনা মনোনয়ন প্রাপ্তির সম্ভাবনা থেকে। দীর্ঘদিন থেকে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগ করে দল গুছাচ্ছেন জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন ফরম ক্রয়করা এককপ্রার্থী ড. মোহিব উল্লাহ। নির্বাচনে তাকেও প্রচারণা ও জনসমর্থনে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী হিসেবে মনে করছেন স্থানীয়রা। কারণ হিসেবে মহেশখালী উপজেলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের জেটিঘাট সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নের অবদানের কথা টেনে নিয়ে অাসছেন অনেকে। এদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে কেন্দ্রের সু-স্পষ্ট নির্দেশ না পাওয়ায় নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দুরে রয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে প্রচারণার মৌসুমে বড় ধরণের পরিবর্তন হতে পারে বলে বিএনপি সমর্থিতরা জানান। সাধারণ ভোটার ও জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে অাসছে মানুষের মাঝে ততই শঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।

মনোনয়ন নিয়ে বিভিন্ন সমর্থক ও সাংবাদিকদের ফেসবুক স্ট্যাটাস ও পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ পড়ে জনসাধারণ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। কেউ বলছেন বর্তমান সাংসদ অালহাজ্ব অাশেক উল্লাহ রফিককে অাওয়ামী লীগ থেকে চুড়ান্ত মনোনয়ন দিবেন। অাবার কেউ বলছেন পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. অানছারুল করিমকেই মনোনয়ন দিবেন ক্ষমতাশীল দল। তবে সব প্রার্থী অাতংকে অাছেন অালোচিত প্রার্থী জেলা অাওয়ামীলীগের সভাপতি অালহাজ্ব অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফাকে নিয়ে। তার নির্বাচনী গণসংযোগ, প্রচারণার দৌড়ঝাঁপ, সমর্থকদের চাঞ্চল্যভাব সহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে শেষমেশ তাকেই নৌকার মাঝি করতে পারেন বলে ভোটারদের মুখে শুনা যায়।

অাওয়ামীলীগ সমর্থকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অামরা প্রার্থীর রাজনীতি করিনা। রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধুর অাদর্শের রাজনীতি। অাওয়ামীলীগ থেকে যাকেই মনোনয়ন দিবেন তাকেই ভোট দিব এবং তার পক্ষেই কাজ করব। দলীয় সমর্থকদের কাছ থেকে ইতিবাচক বক্তব্য পাওয়া গেলেও কিছু কিছু পদবীধারী নেতাদের নির্দিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ কাজ করতে দেখা যায়। এতেই জনমনে প্রশ্ন দেখা দেয়, মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীর সাথে সমন্বয় করে সকল নেতাকর্মী একসাথে নৌকাকে বিজয় করতে কাজ করবে কিনা? নাকি সেখানেও স্থানীয় রাজনীতির গ্রুপিং এর প্রভাব পড়বে?