সংবাদদাতা:

মহেশখালীর ভূয়া ডাক্তার রশিদের বিরুদ্ধে আন্দাজি চিকিৎসায় এক রোগীর জীবন সঙ্কটাপন্ন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৫ অক্টোবর বিকাল ৪ টায় মহেশখালী উপজেলার দেবাঙ্গাপাড়াস্থ মাদরাসা হামজা বিন আব্দুল মোত্তালিব (রা:) এর প্রধান পরিচালক মাওলানা নূর আহমদ দাঁতের ব্যথা জনিত কারণে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের নতুনবাজারস্থ ডাঃ আব্দুর রশীদের চেম্বারে চিকিৎসা নিতে যায় কিন্তু ওই ভূয়া ডাক্তার রোগীকে জোর নিশ্চিত দিয়ে ভাল হবে বলে দাঁত ফেলে দেয় এবং ভূয়া ডাক্তার রোগীর দাঁত ফেলে দেওয়ার পর প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়ে বলেন প্রয়োজনে আইসক্রিম ও যেকোন ঠান্ডা খাইতে চাইলে পারবেন।

পরদিন অবস্থা বেগতিক হয়ে রোগীর মুখ ও চোখ ফোলে অস্বাভাবিক রূপ ধারন এবং দিনদিন রোগীর শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে কক্সবাজার ফুয়াদ – আল – খতীব হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জরুরি ভিত্তিতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে অপারেশনের পরামর্শ দেয়।
পরে গত ৩১ অক্টোবর রাত ১০ টায় ডাঃ শাহ আলমের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে রোগীর অপারেশন সম্পন্ন করেন। বর্তমানে আল ফুয়াদ হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ৪৮ ঘন্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণ শেষে এম ১১ নং সিটে ভর্তি রয়েছেন। রোগীর আত্মীয়রা জানায় তাঁর অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত নই।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ড. আব্দুর রশিদ কোন ধরণের ডেন্টাল স্পেসালিস্ট না হয়েও গ্রামের সাধারণ লোকজনকে দন্ত চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেয়। দেদারসে মহেশখালি জুড়ে ভূল চিকিৎসা করে যাচ্ছে।

অথচ সে সার্টিফিকেট ধারী কোন ডাক্তার নন এবং বি.ডি.এস পাশ না হওয়া সত্ত্বেও ডাক্তার পরিচয়ে অনুমান নির্ভর চিকিৎসার মাধ্যমে অসংখ্য রোগীর জীবন মারাত্মক হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
। এছাড়াও আরো অনেক লোকজন তার কাছে চিকিৎসা নিয়ে বাঁচা-মরার পর্যায়ে উপনীত।
আর্থিক ও শারিরিকভাবে মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগি নুর আহমদ এ বিষয়ে
বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক উক্ত ভূয়া ডাক্তারের বিরূদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহনপূর্বক উপযুক্ত শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। সে আমাকে ভূল চিকিৎসা করে আমার জীবন এখন চরম সংকটাপন্ন এমনকি আমার চেহারার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। এসব ভূয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা না হলে সাধারণ মানুষের অনেক ক্ষতি হবে।

অন্যদিকে স্থানীয় বিশিষ্ট সমাজ সেবক ,ব্যবসায়ী ও মাদ্রাসা হামজা বিন আব্দুল মোত্তালিব (রা)এর পরিচালনা পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা ইবরাহীম খলীল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বলেন ডাক্তারির নামে এমন ভূয়া জঘন্য কাজ যেন আর কেউ করতে না পারে সে জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে চিকিৎসক আব্দুর রশিদ বলেন, সে আমার রোগী নই আবার বলে আমি তাকে এন্টিবায়েটিক দিয়েছি যখন সে আমার চেম্বারে আসেন তখন রোগী তার মুখ খুলতে পারছেনা।

তার কাছে আরো জানতে চাইলে ডাক্তারি সনদ ও স্বীকৃত কোন হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর সার্টিফিকেট আছে কিনা তিনি বলেন, আমি পঞ্চাশ বছর ধরে বিভিন্ন লোকজনকে চিকিৎসা দিচ্ছি আমার কোন সার্টিফিকেট নেই যা আজ অবধি আন্দাজ করে কাজ করতেছি।যে সময় এলাকায় ডাক্তার ছিলনা সেই সময় হতে আমার অভিজ্ঞতার চিকিৎসা চলছে।
এমনকি এমপিরা পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মহেশখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলাম বলেন

এখনো আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি তবে আমি বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।