শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাজারে স্বর্ণ তৈরী করতে এসে ফেঁসে গেলেন চকরিয়া পৌরসভা তিন নারী। আইনের আশ্রয় নিতে গিয়ে শ্রীঘরে গেলেন এ নারীরা। এমন ঘটনায় বাজার জুড়ে চলছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। ধৃতরা হল পৌরসভার ফুলতলা গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী জান্নাতুল আয়মন, মামুনুর রশীদের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার অপর জনের নাম জানা যায়নি।

সূত্রে জানা যায়, ঐ তিন নারী ৭ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ঈদগাঁও কাঁচা বাজার সড়কের মর্ডান জুয়েলার্স নামের একটি দোকানে এসে ২ ভরি ১ আনা উজনের একটি হাতের চুরি ধরিয়ে দিয়ে কর্মচারীকে বলে এই চুরিটি ভেঙে ছোট করতে হবে। পরে কর্মচারীর সন্দেহ হলে চুরিটি আসল না নকল যাচাই করতে যায় কারিগরের কাছে। আধা ঘন্টা পর এসে উক্ত চুরিটি নকল বলে জানিয়ে তাদের জিম্মি করে রাখে। তারা স্বর্নের চুরিটি ঈদগাঁও বাজারের একটি দোকান থেকে ক্রয় করেছে বললে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রশিদ কপি আনতে বলেন। এসময় জান্নাতুল আয়মন নামের মহিলাটি রশিদ কপি আনার বাহনা দিয়ে স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে তারা স্বর্ণের চুরিটি ছোট করতে এসে জুয়েলার্স কর্মচারীরা তাদের আটক করে রেখেছে। এমন অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই নিজাম উদ্দীনের নেতৃত্বে একটি দল। তাদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার পুর্বক ২ ভরি ১ আনা উজনের চুরিটি জব্দ করে তদন্ত কেন্দ্র নিয়ে যায়। পরে তদন্ত কেন্দ্রের টু আইসি এসআই শাহাজ উদ্দীন স্থানীয় ব্যবসায়ী, গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে হাতের চুরিটি আসল না নকল যাচাই করার জন্য উভয় পক্ষের মতামত জানতে চান। সকলের সম্মতিতে রাতে পাঠানো হয় চট্টগ্রামের হাজারী গলির একটি অত্যাধুনিক পরীক্ষাগারে। পরদিন সকালে রিপোর্ট আসার পর জানতে পারে চুরিটি নকল।

ধৃত নারীদের স্বজনরা দাবী করেন তারা কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার। হামিদা বেগম নামের এক আত্মীয় জানান, তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোন ধরনের সহযোগিতা পাননি। চুরিটি পরীক্ষাগারে পাঠানোর সময় তাদের কোন প্রতিনিধিও পাঠানো হয়নি। তাদেরকে রাখা হয়েছে পুরুষ হাজতে। তাদের দাবী চুরিটি আসল!

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এস আই শাহাজ উদ্দীন বলেন, ধৃত নারীরা প্রতারক, তারা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রতারনা করে আসছে। জুয়েলার্সটির মালিক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। তাদেরকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। অপর একটি সূত্রে জানা গেছে নকল স্বর্ণ তৈরীর একটি বড় সিন্ডিকেট রয়েছে তাদের।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ খায়রুজ্জামান বলেন, এখনো মামলা দায়ের হয়নি। উভয় পক্ষের লোকজন থানায় অবস্থান করছে। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।