শুক্রবার (২৬অক্টোবর) ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং এর একটি আদালত তাকে ফরেনার্স অ্যাক্টের এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেন।
উল্লেখ, ভারতের অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০১৫ সালের মার্চে বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। সিটি থানায় দায়ের করা ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিচারক তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন। জামিনের প্রধান শর্তই হলো- শিলংয়ের বাইরে যাওয়া যাবে না। আর সে কারণেই সালাউদ্দিন আহমেদ আপাতত সেখানেই একটি গেস্ট হাউস ভাড়া করে আছেন। অসুস্থতার জন্য তার চিকিৎসাও চলছে ওই শহরেই। মাঝে মাঝে বাংলাদেশ থেকে স্ত্রী-সন্তান ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা গিয়ে তার সাথে দেখা করেন।
এদিকে এ রায়ের খবর তার নির্বাচনী এলাকা ও জন্মস্থান পেকুয়ায় ছড়িয়ে পড়লে আনন্দে মেতে উঠেন স্থানীয় জনসাধারণ। আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিরতণ করেন তার দলের অনুসারীরা।
শুক্রবার বিকেলে পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামরান জাদিদ মুকুটের নেতৃত্বে এক আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি পেকুয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে পেকুয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার সামনে শেষ হয়। এসময় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মাঝে মিষ্টি বিরতণ করেন তারা।
এছাড়া পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি সোহেল আজিমের পক্ষ থেকে একইদিন বিকেলে মগনামা বাজার এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেন দলের নেতাকর্মীরা।
এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পেকুয়া উপেজলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ বলেন, চকরিয়া পেকুয়া তথা কক্সবাজারবাসীর আকাঙ্ক্ষিত রায়ের বাস্তবায়ন ঘটেছে। এছাড়া আরো একবার সত্য প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। কারণ জাতীয়তাবাদী রাজনীতি বরপূত্র ও আধুনিক চকরিয়া পেকুয়ার রূপকার সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েছিলেন। এটি আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আশা করবো আইনি জটিলতা শেষ করে বীরের বেশে খুব শীঘ্রই তিনি চকরিয়া-পেকুয়া তথা দেশে ফিরবেন।