প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
চকরিয়ায় হাজি মঞ্জুর আলম সওদাগর স্মৃতি ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে গোল্ডেন ড্রিমস বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কাকারা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় এই বৃত্তি পরীক্ষা। পরীক্ষায় দুই কেন্দ্রে অংশ নেয় প্রায় ১৩ শতাধিক শিক্ষার্থী। তন্মধ্যে চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১০০০ শিক্ষার্থী এবং কাকারা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অংশ নেয় ৩০০ শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, এসব শিক্ষার্থী উপজেলার আন্তঃ বিদ্যালয় তথা ১৮টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় এসব বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে শুরু করে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত।
চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন কিডস কেয়ার ইন্টারনশ্যনাল স্কুলের প্রধান ও অধ্যাপক জামাল সাকিব এবং কাকারা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল হায়দার। আর পরীক্ষা অনুষ্ঠান তদারক করেন চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের সহকারি প্রধান শিক্ষক ফজলুল কাদের, একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক অলসন বড়–য়া, শিক্ষক মোহাম্মদ তোহা, সাংবাদিক ও ঠিকাদার মাইনউদ্দিন হাসান শাহেদ, চকরিয়া প্রেস ক্লাবের কার্যকরী সভাপতি ছোটন কান্তি নাথ, অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আরাফাত সাজ্জাদ, প্রো-ক্যাডেট কলেজের শিক্ষক শওকত ওসমান, বিএন স্কুলের শিক্ষক বেলাল উদ্দিন, কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যার-১ নুর মোহাম্মদ চৌধুরী, হাজি মঞ্জুর আলম সওদাগর স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ও বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্টপোষক ঠিকাদার মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন। আর সাবির্ক সহায়তায় ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) চকরিয়া কলেজ টিম।
এ প্রসঙ্গে কাকারার হাজি মঞ্জুর আলম সওদাগর স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ও মরহুমের বড় ছেলে ঠিকাদার মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন বলেন, ‘আমার বাবা সারাজীবন সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছেন। ছোটকাল থেকেই বাবার কাছ থেকে এমন শিক্ষাই পেয়েছি। আজ বাবা দুনিয়াতে নেই। তিনি রেখে গেছে চার পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানকে। তাই প্রাণপ্রিয় বাবার স্মৃতিটুকু ধরে রাখতে এই বৃত্তি প্রদানের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।’
শিক্ষানুরাগী সাহাবউদ্দিন জানান, গতকাল একসঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৩০০ শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এখান থেকে প্রতিটি ক্লাসের বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথমস্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীকে তুলে দেওয়া হবে একটি করে কম্পিউটার ট্যাব ও সনদপত্র। এছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে পুরষ্কৃত করা হবে নগদ অর্থ এবং সনদপত্র। প্রতিবছর যাতে এই বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান করা যায় সেজন্য সকলের দোয়া কামনা করেন মরহুমের বড় পুত্র সাহাবউদ্দিন।