শাহেদ মিজান, সিবিএন:

নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে এবার কক্সবাজারে মানহানির মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (আদালত নং-৪) এ মামলা হয়। মামলা নং সিআর-১২১৩/১৮। মামলায় মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

কক্সবাজার জেলা বারের সদস্য সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম গুন্দু বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা পরিচালনা করেন জেলাবারের সাধারণ সম্পাদক এ্যাভোকেট ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল। তাকে সহযোগিতা করেন এ্যাডভোকেট শওকত বেলাল।

আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আশেক ইলাহী শাহজাহান নুরী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ব্যারিস্ট্রার মইনুল হোসেনকে আসামী করে কক্সবাজার সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত তামান্না ফারাহ’র আদালতে একটি ফৌজদারি দরখাস্ত করা হলে আদালত দরখাস্তটি আমলে নিয়ে আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

বাদী এ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম গুন্দু জানান, দেশের প্রথম সারির স্যাটেলাইট টেলিভিশন ৭১’টিভির এক টকশোতে ব্যারিস্ট্রার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে দেশের নারী সমাজকে চরমভাবে অপমান করেছেন। এতে মাসুদা ভাট্টির ১০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে আমি মনে করি। উক্ত ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে আমি মামলাটি দায়ের করেছি।

বাদি পক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল মামলা হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

উল্লেখ্য গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’ এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’

মাসুদা ভাট্টির এই প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।