কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নটি শহরের অতি নিকটবর্তী একটি ইউনিয়ন। অত্র ইউনিয়নের ১নং ও ২ দনং ওয়ার্ড নিয়ে ছনখোলা গ্রামটি গঠিত। এই গ্রামটি শহরের অতি নিকটবর্তী । এই গ্রামে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। জীবনের তাগিদে এই গ্রামের মানুষ লেখাপড়া,ব্যবসা, চাকরি এবং যেকোন জরুরী প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত শহরে যাতায়াত করে। এই গ্রাম দিয়ে শহরে যেতে ৩ টি বিকল্প রাস্তা রয়েছে। (১ম রাস্তাটি) ছনখোলা বাজার হয়ে চেরাংগর ও বাংলাবাজার হয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শহরে যেতে হয়। ( ২য় রাস্তাটি) ছনখোলা থেকে ছাম্পানঘাট দিয়ে বাকখালী নদী পার হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে এস এম পাড়া হয়ে শহরে যেতে হয়। (৩য় রাস্তাটি) ছনখোলা বাজার থেকে খুরুশকুল কুলিয়াপাড়া হয়ে মাত্র ৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মাত্র ১০-১৫ মিনিটে শহরে যেতে পারে। কিন্তু বর্তমানে এই রাস্তাটি যেন মরণ ফাদে পরিনত হয়েছে। অনেক সময় এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে অনেক বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এলাকার ছাত্র,যুবক মিলে ইতিমধ্যে অনেকবার নিজেদের উদ্যোগে রাস্তাটি মেরামতের চেষ্টা করেছে। কিন্তু এতবড় রাস্তাটি কখনো নিজেদের উদ্যোগে করা সম্ভব নয়। বর্তমান সরকারের আমলে কক্সবাজারে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার কাজ চলতেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় শহরের অতি নিকটবর্তী রাস্তাটি জনপ্রতিনিধিদের স্বদিচ্ছা না থাকা এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়ন থেকে মানুষকে দূরে রাখতে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল কাজ করে যাচ্ছে। ছনখোলা থেকে খুরুশকুল কুলিয়াপাড়া হয়ে শহরে যাওয়ার রাস্তাটির ২ কিলোমিটার জায়গা খুরুশকুল মৌজা এবং ১ কিলোমিটার রাস্তা পিএমখালী মৌজায়। যেহেতু খুরুশকুলের লোকজনের এই রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ না সেহেতু খুরুশকুলের চেয়ারম্যান রাস্তাটি মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি, যদিও আগের চেয়ারম্যান রাস্তাটি করার জন্য অনেক কষ্ট করেছিলেন। অন্যদিকে পিএমখালী মৌজায় যেহেতু ১ কিলোমিটার রাস্তা পড়েছে সেইক্ষেত্রে হয়ত চেয়ারম্যান মহোদয় এই রাস্তাটি করার কোন উদ্যোগ নেয়নি। কিন্তু সেটা ছিল পিএমখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সম্পূর্ণ একটি ভূল ডিসিশন। কারণ পিএমখালীর ছনখোলার ২০ হাজার মানুষের শহরের যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি মাত্র সহজ সড়ক, তাই যেকোন ভাবে এই মানুষগুলোর কথা চিন্তা করে রাস্তাটি করার উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। পিওমখালীর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামায়াতী ঘরনার, সেইক্ষেত্রে তিনি চাইবেন শেখ হাসিনা সরকারকে সাধারণ মানুষের কাছে বিতর্কিত করতে। তাই কোনভাবে তিনি এই রাস্তাটি করার উদ্যোগ গ্রহন করেননি। কক্সবাজার সদর -রামু আসনের মাননীয় সাংসদ #সাইমুম_সরওয়ার_কমল ভাই, জেলা পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব#মোস্তাক_আহমদ_চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয়, সদর উপজেলা প্রশাসনের কাছে বিনিত আবেদন অতি শীঘ্রই এই রাস্তাটি মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহন করুন। সামনে জাতীয় নির্বাচন, এই রাস্তা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা করতে গেলে জনগন কখনো আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করবেনা। তাই আপনাদের কাছে ছনখোলাবাসীর পক্ষ থেকে আবারো বিনীত অনুরোধ ছনখোলার ২০ হাজার মানুষকে এই কঠিন শাস্তি থেকে মুক্ত করুন।
অনুরোধক্রমে


কাজী তামজিদ পাশা
সভাপতি, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ,কক্সবাজার।