গত ১৩ অক্টোবর দৈনিক দেশবিদেশ, বাঁকখালী ও কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত “খুটাখালীতে বৃদ্ধ পিতাকে মারধর বাড়ি বাড়ি -ঘর ভাংচুর মালামাল লুট”শীর্ষক সংবাদটি আমাদের দৃষ্টি গোছর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পুন্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়া,শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো অপচেষ্টা। বাস্তবতার সাথে কিছুই মিল নেই।মুল কথা হচ্ছে আমার বাবা জীবনে ৪ টি বিয়ে করেছিল।তার মধ্য একজন উপজাতী নারী।আমাদের মা মরহুমা তমিজা খাতুনের ৭ ছেলে ১ মেয়ে। তৎমধ্যে ৪র্থ স্ত্রী গোলতাজ বেগমের ঔরসে ৪ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে। আমাদের বাবার সাথে কোনদিন কোন সময়ে কথাকাটিও হয়নি। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ভিটে জমিতে আমরা স্ব-পরিবার শান্তিপূর্ণ ভাবে সহবস্থানে বসাবাস করে আসছি।আমাদের বাবার সহায় সম্পত্তি গুলো গোলতাজ বেগমের ঔরসে ছেলে মেয়েরা কৌশলে হাতিয়ে নেয়।এমন কি ৫৭ লক্ষ টাকার ব্যয়ে নির্মিত ৩ তলা ভবনটিও হাতিয়ে নেয়। তাছাড়া কালা পাড়া এলাকায় প্রচুর জমিও হাতিয়ে তারা।বাবার সম্পত্তি কৌশলে হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি আমরা দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করি।এই প্রতিবাদের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে আমাদের সৎ ভাই ভুঁয়া এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দানকারী বদরুদৌজ্জা চৌধুরী নাটক মঞ্চস্থ করেছে।বর্তমানে আমাদের সহায় সম্পত্তি গুলো হাতিয়ে নিতে অসুস্থ বাবাকে বলির পাঠা বানিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে। যে মারধরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পর্ন ভুঁয়া। স্থানীয় প্রশাসন সরেজমিন তদন্ত করলে ঘটনার মুল রহস্য বেরিয়ে আসবে।আমরা খুটাখালীর ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান।সংবাদে শওকত আলীকে হুন্ডি ব্যবসায়ী বলা হয়েছে তাও ভুঁয়া,রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে কোনদিন জড়িত ছিল না।বরং বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতে যোগান দিচ্ছে।
এ ধরনে ঘটনা আমাদের জীবনে হয়নি।মুলত বউ পাগল, ইয়াবা ব্যবসায়ী কথিত ডাক্তার বদরুদৌজ্জা চৌধুরী আমাদের নামে সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। খুটাখালীর আপামর জনগন অবগত আছেন একাধিক বিয়ে আর ডাক্তারের চেম্বার খুলতে গিয়ে চট্টগ্রামের পটিয়া, টেকনাফের সাবরাং,কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর নতুন অফিস থেকে স্থানীয়রা পিটিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছিল।শুধু এ নয় অসুস্থ বাবা যখন স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করছিল না তখন এ ভুঁয়া ডাক্তার বাবাকে মারধর করেছিল।আর যে ঘর ভাংচুরের ছবি ছাঁপানো হয়েছে এটা মুলত আমাদের চলাচলের পথ।এটা বারান্দা হওয়ায় চলাচলের বিঘ্ন ঘটত। সে কারণে সকলের উপস্থিতি ও বাবার সম্মতিতে এটা ভেঙে চলাচলের পথ করা হয়েছে। মুলত এসব ঘটনাকে আড়াল করতে উক্ত কথিত ডাক্তার আমাদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।সাংবাদিক ভাইদের কাছে অনুরোধ থাকবে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে সংবাদ পরিবেশন করতে। প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী


বেলাল আজাদ, শওকত আলী,আবদুস সোবাহান,ডাঃ মোহাম্মদ হোছাইন
পিতা– বকসু মেম্বার
সাং পূর্ব পাড়া খুটাখালী,উপজেলা চকরিয়া।