হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :

কক্সবাজার শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরের ইউনিয়ন গর্জনিয়া। রামু উপজেলার প্রত্যন্ত এই ইউনিয়নে এখনো লাগেনি দৃশ্যমান উন্নয়নের ছোঁয়া। পুরো ইউনিয়নে নেই বিদ্যুৎ সুবিধে। এরপরও মাঝিরকাটা গ্রামের আহমেদ হাসনাইন জোহেব পেয়েছে মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ। এতে গ্রামের মানুষের মাঝে আনন্দ দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর আশা জোহেব তাঁর অদম্য ইচ্ছে, একদিন ডাক্তার হয়ে আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করবে।

জোহেবের বাবা নুরুল আজিম কক্সবাজার সিটি বিশ^বিদ্যালয় কলেজের সহকারি অধ্যাপক। আর মা ইসমত আরা বেগম কক্সবাজার পৌরসভার বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। তাঁদের দুজনের বাড়িই গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝিরকাটা গ্রামে।

মেধাবী এই ছাত্র ভর্তিযুদ্ধে মেধায় সংগ্রাম করে এবার দেশের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পেয়েছে পড়ার সুযোগ। জোহেবের এই মেধা যেনো জানান দিচ্ছে, মেধার সামনে কখনো বাঁধা হয়ে উঠে না শহর কিংবা গ্রাম। এই মেধাবী প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকে কক্সবাজার জেলায় প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছিল।

জোহেবের মা কক্সবাজার পৌরসভার বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইসমত আরা বেগম বলেন, ছেলে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ও গাজীপুর ইসলামি প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়ও মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছিল। কিন্তু আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করবে বলেই সে মেডিকেলে পড়ছে।

এ প্রসঙ্গে অদম্য মেধাবী আহমেদ হাসনাইন জোহেব বলেন, মেডিকেলে পড়ার ইচ্ছে ছিল সেই ছোটবেলা থেকে। তখন ডাক্তারদের অবাক হয়ে দেখতাম, আর ভাবতাম, একদিন আমিও তাঁদের মতো অ্যাপ্রোন পরব। তা ‘পরতে’ হলে যে আগে ‘পড়তে’ হবে, সেটা জানতাম খুব ভালোভাবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।