শাহেদ মিজান, সিবিএন:
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আর্ন্তজাতিক ফুটবল টুর্ণামেন্টের সেমিফাইনালে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলেও ২-০গোলে হেরে গেছে বাংলাদেশ দল। মাত্র নয় মিনিটের মাথায় হওয়া প্রথম গোলতো শোধ করতে পারেনি; তার উপর শেষ মুহূর্তের বাড়তি সময়ে আরো একগোলসহ দু’গোলে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো স্বাগতিক বাংলাদেশ। এই হারাকে ভাগ্য বিড়ম্বনা বলে মনে করছেন সমর্থকরা।

আর বাংলাদেশকে পরাস্ত করে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আর্ন্তজাতিক ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলার সামর্থ্য অর্জন করেছে ফিলিস্তিন। তবে ভাগ্যের জোরেই ফিলিস্তিনের এই জয়। কারণ খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দল অত্যন্ত চমৎকার খেলে বার বার আক্রমণ প্রতিপক্ষের দিকে।

কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে চলমান মাত্র নয় মিনিটের মাথায় বাংলাদেশের জালে একটি গোল লাগিয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনের ২৮ নং জার্সি পরিহিত এম এম বালাহ মাথা লাগিয়ে গোলটি করেন এবং দ্বিতীয় গোলটি করেন ১০নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় মারাহবা।

অন্যদিকে শুরুতেই গোল হলেও অত্যন্ত আত্মবিশ^াসের সাথে বাংলাদেশ কিন্তু দুর্দান্ত খেলছে। শেষ পর্যন্ত আক্রমণ করেছে। প্রায় অর্ধশত গোল হওয়ার মতো আক্রমণ করলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকেরা।

খেলার শুরুর দিকে ফিলিস্তিন বাংলাদেশ বাংলাদেশের সাথে প্রায় পাল্লা দিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে। তবে মিনিট পনের’র মাথায় তাদের লড়াইয়ের মাত্রা কমে যায়। এতে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে থেকে মুহুর্মূহ গোলে আক্রমণ করে গেছে। মাঠের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে নাকানিচুবানি খাইয়েছেন। বাংলাদেশ প্রায় ৭০ শতাংশ আক্রমণ করছে। কিন্তু শারীরিক পার্থক্যের কারণে আর গোল করার হয়নি বাংলাদেশ দলের। কারণ শারীরিকভাবে ফিলিস্তিনি খেলোয়াড়রা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের চেয়ে লম্বা ও সবল। আবার তারা ‘গায়ের জোরে’ গোল রক্ষার চেষ্টা করেছেন। তাই প্রতিপক্ষের গোলের কাছে বার বার দমে যেতে হয়েছে স্বাগতিকদের। এই জন্য ফাউল করায় ফিলিস্তিনের দুই খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন রেফারী।

বাংলাদেশ দল থাকায় দর্শকের টইটম্বুর হয়ে উঠে কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম। পুরো কোথাও এক চিলতে পা ফেলার জায়গা ছিলো না। কিন্তু খেলার পুরোটা ‘নীরব দর্শক’ই হয়ে থাকতে বাংলাদেশিদের। তবে হা-হুতাশটা লেগেই ছিলো সবার মাঝে। কারণ মিনিটে মিনিটে মাতৃভূমির দল প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করেও গেলেও গোলের দেখা না পাওয়ায় আফসোসের যেন শেষ ছিলো না! গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে খেলাটা বেশ জমতো যদি না বাংলাদেশ জিততো!

এদিকে জাতীয় দলে কক্সবাজারের চারজন খেলোয়াড় থাকলেও দলের তালিকায় ছিলো তিনজনের নাম। এর মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধে খেলার সুযোগ পায় মহেশখালীর সবুজ।

উল্লেখ্য, ছয়টি দলের অংশগ্রহণে গত ১ অক্টোবর সিলেট স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আর্ন্তজাতিক ফুটবল মাঠে গড়ায়। বঙ্গবন্ধুর নামে আর্ন্তজাতিক এ ফুটবল টুর্ণামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশ, লাওস, ফিলিপাইন, প্যালেস্টাইন, নেপাল ও তাজিকিস্তান অংশগ্রহন করেন। ১২ অক্টোবর ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ।