ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজারের বডিবিল্ডার মোস্তাক আহমেদ শুধু কক্সবাজারের নন, তিনি এখন জাতীয় সম্পদ। তার হাত ধরে গড়ে উঠেছে হাজারো বডিবিল্ডার। নিজের ভবনের উপর গড়ে তুলেছেন দুটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র। থেমে নেই কর্মতৎপরতা। তার স্বপ্ন অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার।
জেলার প্রথম ও সর্বাধুনিক ব্যায়ামাগার সৈকত জীম এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোস্তাক আহমেদ শরীর গঠন ফেডারেশনের জাতীয় বিচারক। ১৯৮৪ সাল থেকে তিনি এ পেশায় নিয়োজিত। ওই বছর ‘মি চট্টগ্রাম’ পুরস্কার পান। একই বছর জাতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার হয়ে ব্রোঞ্জ পদক এবং কক্সবাজার জেলা ক্রিড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ‘মি. বাটা বাংলাদেশ’ অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালে জেলা ক্রিড়া সংস্থার হয়ে ‘মি. বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান করে স্বর্ণ পদক জয়ী হন। এভাবে থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত টানা ৬ বার জাতীয়ভাবে ‘মি. বাংলাদেশ’ চ্যাম্পিয়নশীপ পান। ধারাবাহিক সফলতা ২০০৭ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। বডিবিল্ডিং মোস্তাক আহমেদের নেশা ও পেশা।
মোস্তাক আহমেদের সৈকত জিম থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ‘মি বাংলাদেশ’ স্বীকৃতি পেয়েছে ৭ জন। আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করে তিনজন।
বিশেষ করে বডিবিল্ডার মোস্তাক আহমেদের হাতে গড়া তিন ছাত্র মংথেন রাখাইন, কিংমংচিং, নাহিদ রেজা খান সুজন জাতীয় বডিবিল্ডার।
কক্সবাজার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের এন্ডারসন সড়কের বাসিন্দা মোস্তাক আহমদ ৩ ছেলে দুই মেয়ের জনক। বড় ছেলে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ থেকে মাস্টার্স পাশ করেছে।
পারিবারিকভাবে তিনি প্রতিষ্ঠিত। কক্সবাজার শহরের বাহারছড়াস্থ নানার বাড়িতে তার জন্ম। দাদার বাড়ি সদরের খুরুশকুল মনুপাড়ায়। মোস্তাক আহমদের পিতা মরহুম জহুর আহমদ খুরুশকুল ইউপি সদস্য ছিলেন।
মোস্তাকের হাতে প্রশিক্ষণ নেয়া অন্তত ১ হাজার ছাত্র দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাদের অনেকে গড়েছে ব্যায়ামাগার।
বডিবিল্ডার মোস্তাক কক্সবাজার সৈকত ব্যায়ামাগার ছাড়াও চট্টগ্রামের চন্দনপুরাস্থ নিজের ভবনে গড়ে তুলেছেন অত্যাধুনিক ব্যায়ামাগার। সেখানেও রয়েছে প্রচুর শিক্ষার্থী। তাকে বাংলাদেশের ব্যায়ামাগারের আইডল বলা চলে।
পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক সুইমিংপুলসহ ব্যায়ামাগার প্রতিষ্ঠা করা তার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের বাস্তব রূপ দিতে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পৌরমেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন বডিবিল্ডার মোস্তাক আহাম্মেদ।
এদিকে, কক্সবাজারে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কৃতি শরীর চর্চাবিদদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
সংবর্ধিতরা হলো- শরীরচর্চায় সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ খেতাবপ্রাপ্ত জাতীয় বিচারক মোস্তাক আহাম্মেদ, তার হাতে গড়া জাতীয় বডিবিল্ডার মংথেন রাখাইন (মিঃ বাংলাদেশ), কিংমংচিং বোস (মিঃ বাংলাদেশ), নাহিদ রেজা খান সুজন (মিঃ বাংলাদেশ) এবং ইব্রাহীম (মিঃ বাংলাদেশ)।
২৩ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে জেলা ক্রিড়া সংস্থার সংবর্ধনায় প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহিদুর রহমান, জেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট একে আহমদ হোসাইন, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ স¤পাদক অনুপ বড়ুয়া অপুর সভাপতিত্বে জেলার কৃতি ক্রীড়াবিদদের মিলন মেলা ও সংবর্ধনায় সহসভাপতি জসিম উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।