মো: ফারুক, পেকুয়া:
পেকুয়ায় অজ্ঞাত মুমূর্ষু বয়োবৃদ্ধাকে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিলেন পেকুয়াস্থ সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ইউনিটি। দীর্ঘ ১৫দিন ধরে অজ্ঞাতনামা বৃদ্ধা চৌমহুনীস্থ ব্রাক অফিসের সামনে একটি দোকানের বারান্দায় বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর পহর গুনছিল।

সোমবার (৮ অক্টোবর) স্থানীয়রা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কর্মরত সাংবাদিকদের এ খবর দেয়ার পর রাতেই ওই স্থানে গিয়ে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য পেকুয়া সমাজ সেবা কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন নেতৃবৃন্দরা।

মঙ্গলবার (৯অক্টোবর) সকালে পেকুয়া সমাজ সেবা কার্যালয় এর পক্ষ থেকে বৃদ্ধাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বৃদ্ধা মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য নেতৃবৃন্দদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রিপোর্টার্স ইউনিটি পেকুয়ার সাধারণ সম্পাদক মো: ইমরান হোছাইন বলেন, কে বা কাহারা পেকুয়া চৌমহুনীস্থ একটি দোকানের বারান্দায় অসহায় বৃদ্ধা মাকে ফেলে চলে যায়। ওই দোকানের বারান্দায় মা মুমূর্ষু অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর পহর গুনছিল। স্থানীয়রা খবর দেয়ার পর তাৎক্ষনিকভাবে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়।

‘মা’ শব্দটি সবার জন্য সমান। এ তাগিদে তার চিকিৎসার জন্য ছুটে যায় আমিসহ রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য মো: হিজবুল্লাহ, জসিম উদ্দিন। পরে সমাজ সেবা কার্যালয়ের মাঠ কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বাবুর সাথে যোগাযোগ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করি।

পেকুয়া সমাজ সেবার কার্যালয় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করার সত্যতা নিশ্চিত করে আমজাদ হোসেন বলেন, যেহেতু তার কোন আত্বীয়ের খোঁজ আমরা পায়নি তার সাথে একজন চৌকিদারকে সাথে পাঠিয়েছি। ওখানে আমাদের সমাজ সেবার কর্মকর্তার মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা চলছে। বৃদ্ধা মাকে উদ্ধার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি রিপোর্টার্স ইউনিটি পেকুয়ার নেতৃবৃন্দকে।