নিজস্ব প্রতিবেদক.
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওর ভাদিতলায় সামাজিক বনায়ন ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংসকারির বিরুদ্ধে কথা বলায় বন জায়গিরদারদের বসত ঘরে হামলা চালিয়েছে অস্ত্রধারিরা। এসময় ভিটে বাড়ির গাছ-পালা কেটে দিয়ে তা দখলেরও পায়তারা চালায় তারা। তাই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের প্রধান বন খেকোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উত্তর)’র কাছে সোমবার দেয়া আবেদনে এ দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগী বন জাগিরদাররা।

অভিযুক্ত নুরুল কবির (৪৩) ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ভাদিতলার মৃত লাল মিয়ার ছেলে ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ডজনাধিক মামলায় অভিযুক্ত।

ঈদগাঁওর ভাদিতলা এলাকার জসিম, ফরিদ, হাসিনা, ফাতেমা, তসলিমা ও হাসিনাসহ স্থানীয় একাধিক বন জায়গিরদার স্বাক্ষরিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, পূর্ব সূরীদের সূত্র ধরে তাদের পরিবার ভাদিতলা এলাকায় বনভূমি রক্ষায় জায়গিরদার হিসেবে কাজ করে আসছেন। দায়িত্বপালনের সুবিধার্থে জায়গিরদাররা পরিত্যক্ত পিএফ জমিতে বসতি করে বাস করছেন। কিন্তু নুরুল কবির স্থানীয় ভাবে অপরাধী বাহিনী তৈরী করে পাহাড়ি বনাঞ্চলে আস্তানা গেড়ে বনের গাছ কেটে, পাহাড় ও মাটি বিক্রিসহ নানা অপরাধকর্ম ঘটাচ্ছেন। গভীর বনে অপকর্ম করার পাশাপাশি এখন লোকালয়ে হানা দিচ্ছে তার দল। বন জায়গিরদার হিসেবে তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলায় সম্প্রতি তারা অভিযোগকারিদের বসতবাড়ি হামলা চালায়। পাশাপাশি ভিটেবাড়ির বেশকিছু গাছপালা কেটে নিয়ে বেআইনী ভাবে দেয়াল দিয়ে জবর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। সশস্ত্র ভাবে ভিটাবাড়ি এলাকায় টহল দেয়ায় পরিজন নিয়ে বসবাস ও বন পাহারার কার্যক্রম চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

তারা আরো উল্লেখ করেন, নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে জিআর-১৫০/১৩, জিআর-১৫১/১৩, জিআর-৯২১/১২, জিআর-৯৩৬/১২, জিআর-১২৯/১৩, জিআর-১৩০/১৩, জিআর-১৩১/১৩, জিআর-৩৯০/০৪, জিআর-৩৯১/০৪, জিআর-৩৯২/০৪, জিআর-৩৪৩/০৩, জিআর-১৭৫/০৬, জিআর-২০২/১৪, বন মামলা-৭৭/১২ ও ৩০/১২ বিচারাধীন রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বন রক্ষা ও বনজায়গিরদারদের বসতঘর রক্ষার্থে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানান তারা।

কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উত্তর) হক মাহবুব মোর্শেদ আবেদন পাবার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিতে বন বিভাগের বিশেষ টীমকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আইনপ্রয়োগকারি সংস্থাকেও এ ব্যাপারে অবহিত করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।