প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
মহেশখালীতে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এড. সিরাজুল মোস্তফা। গতকাল মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) তিনি অর্ধশত গাড়িবহর নিয়ে উপজেলার কুতুবজোম, বড়মহেশখালী ও পৌরসভা একাংশে এই গণসংযোগ করেন। এসময় বিপুল জনগণ তাঁর সাথে গণসংযোগে অংশ নেন। তাঁর এই সাড়া জাগানো সংযোগে পুরো এলাকা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নারী-পুরুষ সকলে তাঁকে কাছে পেয়ে তাঁর পক্ষে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন। এসময় এড. সিরাজুল মোস্তফাও জনগণের এই অকৃত্রিম ভালোবাসার জবাব দিতে সকল স্তরের মানুষ বুকে জড়িয়ে নেন।

সংযোগকালে এড. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্বপ্নের বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে বিশ^ দরবারে ব্যাপক পরিচিত করে নি¤œমধ্যম আয়ের দেশের কাতারে সামিল করেছেন।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহেশখালীকে ঘিরে বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এসব উন্নয়ন প্রকল্প সম্পন্ন হলে মহেশখালীর চেহারা বদলে যাবে। তাই আগামী নির্বাচনে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। তাহলে তিনি উন্নয়নের ধারার অবশিষ্ট কাজগুলো সম্পন্ন করে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাবেন। একই সাথে মহেশখালীর চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মহেশখালী প্রতিটি ঘরে ঘরে উন্নয়নের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে।

তিনি বলেন, মহেশখালী উপকূলীয় এলাকা হিসেবে মাছ ধরার উপর অনেক পরিবার নির্ভরশীল। প্রধানমন্ত্রী জেলেদের এই জীবন নিয়ে সব সময় ভাবেন। তাই মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের বিশেষ ভাতা ও বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন। জেলেদের জন্য আরো বরাদ্দ বাড়াতে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি জানাবো।

এড. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ শান্ত থাকে। তিনি তার দক্ষতা ও যোগ্যতা বলে দেশ ও জনগণ বিরোধী সকল সহিংসতা কঠোর হস্তে দমন করেন। এভাবে দেশকে পাহারা দিয়ে তিনি দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। আগামীবার ক্ষমতায় আসলে এই পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। তাই আপনারা অবশ্যই আগামীবারও নৌকায় ভোট দেবেন।

এদিকে এড. সিরাজুল মোস্তফার পক্ষে মহেশখালী-কুতুবদিয়া এক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় রাজনীতি সচেতন লোকজন।

তারা বলছেন, এড. সিরাজুল মোস্তফা চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের স্বার্থ বজায় রেখে ক্ষতিগ্রস্ত জণগণের স্বার্থের জন্য যে প্রকাশ্যে যে কথা বলছেন তাতে জনগণ তাকে অত্যন্ত সাধুবাদ জানাচ্ছেন। তাই আগামীবার তাকেই মহেশখালী-কুতুবদিয়া নৌকা মাঝি বানানোর জন্য মহেশখালী-কুতুবদিয়াবাসী প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছেন। ক্লিন ইমেজ ও সৎ নেতা হিসেবে প্রধামন্ত্রী প্রার্থী তালিকায়ও তাঁর নাম সবার উপরে আছে বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গণসংযোগকালে তাঁর সাথে ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ আনোয়ার পাশা চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো: ফোরকান বিএ, শরীফ বাদশা, কুতুবজোমা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংঠনিক সম্পাদক জাফর আলম, বড়মহেশখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আমিরুজ্জামান আমজু, কুতুবজোম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগে উপ-প্রচার সম্পাদক এহছানুল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সোলতান কোং, ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা হারুন মেম্বার, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল নিশান আলা উদ্দীন, জাফর আহমদ, শাহাব উদ্দীন, মহিব উল্লাহ, শাহাব উদ্দীন, দুদু মেম্বার, নবী হোসেন মেম্বার, ছবর মিয়া, মোতালেব, জেলা ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোবারক হোসেন বারেক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুদ্দীন মাসুদ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রিয়ান সিকদার, ইনজামামুল হক জুসিয়ান, যুবলীগ নেতা ফারুক বাদশা, আব্বাস মিয়া, তৌহিদুল ইসলামসহ আরো অনেকে।

এরমধ্যে তিনি সদ্য প্রয়াত বড়মহেশখালীর প্রবীণ আওয়ামী নেতা শুকুরিয়াপাড়ার কাদের হোসেন সওদাগরের কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বান্ত¡না দেন।