নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারের মাংস ব্যবসায়ী রাজা মিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা প্রদানের প্রতিবাদ ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে কক্সবাজারে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির ডাকে কক্সবাজার শহরে মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে। যার কারণে সাধারন ক্রেতাদের দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। তাছাড়া কক্সবাজার শহরে অবস্থিত চার শতাধিক হোটেলে রয়েছে অসংখ্য পর্যটক ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত দেশী-বিদেশী অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমান মাংসের প্রয়োজন হয়। মাংস ব্যবসায়ীদের এই ধর্মঘটের কারণে ক্রেতাদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়ায় মাংস ব্যবসায়ী রাজামিয়ার বাড়ীতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। সেখানে তার ফ্রিজে রক্ষিত মাংস অসুস্থ গরুর মাংস আখ্যা দিয়ে তাকে ৮ মাসের জেল ও পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। মাংস ব্যবসায়ীরা দাবী করেন যে মাংসের কথা বলে রাজামিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে তার কোন পরিক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়নি। কতিপয় চাঁদাবাজ যুবকের ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এই সাজা দেয়া হয়েছে।

এরই প্রতিবাদ কক্সবাজার মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ২৭ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন, ৩০ সেপ্টেম্বর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও ১ অক্টোবর জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।

কক্সবাজার মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল আলম বলেন, আমরা ইতিমধ্যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করেছি। এখনো পর্যন্ত কোন সমাধান না পেয়ে ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছি।