শাহেদ মিজান, সিবিএন:
মহেশখালীতে নাশকতার পরিকল্পনা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহেশখালী পৌর মেয়র মকছুদ মিয়ার ছোটভাই আতাউল্লাহ বোখারীসহ বিএনপির আট নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গোরকঘাটা বাজারের লামারবাজারে একটি দলীয় বৈঠক থেকে তদের আটক করে মহেশখালী থানা পুলিশ। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতদের মধ্যে আরো রয়েছে,  ছোট মহেশখালী বিএনপির সভাপতি আব্দুল করিম, মাতারবাড়ি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস্তেফাজুল হক, ধলঘাটা বিএনপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সবাপতি মিন্নত আলী, শাপলাপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওসমান, মাতাবাড়ি শ্রমীক দলের সাধারণ সম্পাদক হাসান মুরাদ ও মহেশখালী উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কবির আহমদ।

এদিকে আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছে -মহেশখালী থানার এসআই রাজু আহমদ গাজী, এএসআই জুয়েল, জায়েদ আজিজ, রাম ধন ও কুসুম বড়ুয়াসহ আরও ৫ কনস্টবল। তাদেরকে মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান- মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুবকর ছিদ্দীক সম্প্রতি ভারত সফর করেন। সেখানে তিনি সে দেশের আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের সাথে দেখা করে বিএনপির এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়ে আসেন বলে ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার নেতৃত্বে একটি মিছিল হয় উপজেলা সদরে। পরে তারা পৌর শহরের লামার বাজার এলাকায় গিয়ে আবুবকরের অফিসে গোপন বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় তারা নানা নাশকতার পরিকল্পনা নিচ্ছিল। এমন খবর পেয়ে মহেশখালী থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় বৈঠককারীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে পুলিশের আরও দুইটি ইউনিট অভিযানে যোগ দেন।
এসময় পুলিশ তাদের চত্রভঙ্গ করতে ব্যপক লাঠিচার্জ ও অন্ততঃ ৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ৮ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় আলাদা দুইটি মামলা হচ্ছে বলে রাতে জানা ওসি।