সিবিএন:
সাংবিধানিক কাঠামো মতে আমলারা জনগণের সেবক। জনগণের সেবা করার জন্যই নিজের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করবেন আমলারা। কিন্তু পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। এখন তারা সেবক নয় শাসক সেজেই বসে আছেন। জনগণ তাদের কাছে সেবা পায় না। পায় একরাশ অবহেলা আর লাঞ্ছনা। সেবা দিতে তারা এখন বাধ্য নয়; ঘুষ দিয়ে কাজটা আদায় করতে হয় এদেশের নিরীহ জনগণকে। তবে সব আমলাই আবার শাসক নয়; কিছু কিছু আমলা আছে এখনও জনগনের সেবক হয়ে কাজ করেন। সংখ্যায় খুব কম হলেও তারাই জনগণের আস্থা হয়ে এখনো সেবার মশাল জ¦লান। নিজের উপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করেন অবিরত। কক্সবাজার সিটি কলেজের প্রভাষক ও এমফিল গবেষক ইকবাল হোসাইনের চোখে এমন একজন আমলা কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার শিমুল শর্মা। সম্প্রতি ইকবাল হোসাইন শিমুল শর্মাকে নিয়ে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাঁর স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-

একজন শিমুুল শর্মা…(তরুণ অফিসার)। বর্তমান প্রজন্মের মেধাবী, শিক্ষিত, দক্ষ, কর্মঠ, সৎ, যোগ্য এবং জনগণের প্রকৃত সেবক একমাত্র তরুণ অফিসারই পারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে। তেমনি একজন সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণ অফিসার যিনি একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় চুড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে কক্সবাজার উপজেলা নির্বাচন অফিসার হিসেবে বিগত দুই বছর যাবৎ কাজ করছেন। নিজেকে শুধুমাত্র প্রজাতন্ত্রের একজন সামান্য সেবক হিসেবে নিরলসভাবে জনগণকে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আর তিনি হলেন জনাব শিমুল শর্মা। তার কাছে সেবাপ্রার্থীর কোনো ক্যাটাগরি নেই। প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতা, মাফিয়া ডন- সবাইকে তিনি এক কাতারের সেবাপ্রার্থী মনে করেন। কারো পরিচয়টা মূখ্য নয় তার কাছে। তিনি মনে করেন- ঘুষ, দুর্নীতি, চামচাগিরি বা অন্যের সুপারিশ পাহাড়সম অন্যায়। এমন আমলাই এখনো জনগণের আস্থা টিকিয়ে রেখেছেন। তারাই হাত ধরেই বার বার সামনে উতরে যায় বাংলাদেশ! তাই সরকারের কাছে অনুরোধ এই রকম মেধাবী, শিক্ষিত তরুণদেরকে সবকিছুর উর্ধ্বে ওঠে জনগণের সেবা করার দায়িত্ব অর্পণ করা হোক। ধন্যবাদ।

(স্ট্যাটাসটি ঈষৎ সংশোধিত)