অনলাইন ডেস্ক :
সুইম-স্যুট পরে নিজেকে প্রদর্শনের ৯৮ বছরের প্রথা ভেঙে এই প্রথম কোনো সুন্দরীকে তকমা পরালেন নির্বাচকরা। এমন ঘটনা ঘটল গতকাল রবিবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটিতে- মিস আমেরিকা নির্বাচনে।
রবিবার রাতে এই প্রতিযোগিতা শেষে জয়ের মুকুট ওঠে মিস নিউ ইয়র্ক নিয়া ইমানি ফ্রাঙ্কলিনের মাথায়।
তবে এই পিজেন্টকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনো সুইম-স্যুট প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হয়নি।
মুকুট পরার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজয়ী আসেন সংবাদমাধ্যমের সামনে এবং মজা করে বলেন, এটা খুব ভালো হয়েছে যে আমাকে সুইম-কস্টিউম পরে নির্বাচকদের সামনে হাঁটতে হয়নি। এ জন্য আমি আরো সামান্য বেশি কিছু খেতে পেরেছি।
তিনি বলেন, এটা দারুণ একটি পরিবর্তন। আমি মনে করি এটা গ্রহণযোগ্য। এমন অনেকেই আমার সাথে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করেছেন, আমি যখন মিস নিউ ইয়র্ক ছিলাম। তাঁরা অনেকেই পছন্দ করেন না সুইম-স্যুট পরে হাঁটতে। এই বিষয়টিতে মূল প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ায় এখন অনেকেই অংশ নেবেন এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায়। যাঁদের মধ্যে কেউ না-কেউ তো পাবেনই এই স্কলারশিপটা।
উল্লেখ্য, বিজয়ীর মুকুট ছাড়াও ৫০ হাজার ডলারের স্কলারশিপ পাবেন মিস আমেরিকা।
নিজের ব্যাপারে দারুণ কনফিডেন্ট এই কৃষ্ণসুন্দরী আরো বলেন, আমি আনন্দিত যে, এই টাইটেল নাইটে আমাকে সুইম-স্যুট পরে হাঁটতে হয়নি। আমি মনে করি আমি এটার চেয়েও অনেক বেশি যোগ্য। শুধু আমি নই, এখানে- এই স্টেজে যাঁরা আছেন তাঁরা প্রত্যেকেই অনেক বেশি যোগ্য।
৫১ জন প্রতিযোগীর ভেতর থেকে বেছে নেওয়া হয় এবারের মিস আমেরিকাকে। প্রথম রানার আপ হন মিস কানেকটিকাট ব্রিজেত ওই। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় রানার আপ হন যথাক্রমে মিস লুসিয়ানিয়া হলি কনওয়ে ও মিস ফ্লোরিডা টেইলর টাইসন। আর চতুর্থ রানার আপ হন মিস ম্যাসাচুসেটস গ্যাব্রিয়েলা তাভেরাস।
সূত্র : অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।