শাহীন মাহমুদ রাসেলঃ

বাংলাদেশের দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যুগে যুগে বহু ভ্রমণকারী মুগ্ধ হয়েছেন। বাংলাদেশ স্বল্প আয়তনের দেশ হলেও বিদ্যমান পর্যটন আকর্ষণে যে অনাবিল বৈচিত্র্যতা সহজেই পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পারে। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ যে কয়টি বিষয় নিয়ে গর্ব করতে পারে তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। তারই বিখ্যাত সদর উপজেলার ঝিলংজার খরুলিয়াতে  চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা।
প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় প্রতিদিন আশংকাজনক হারে বাড়ছে মাদকসেবী ও মাদকবিক্রেতার সংখ্যা। ধ্বংস হচ্ছে, ছাত্র, শিক্ষক ও ব্যবসায়ী সমাজ।
সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, খরুলিয়ার স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র থেকে শুরু করে ও স্থানীয় কয়েজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পর্যন্ত মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। অনেক ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে মাদকের করাল গ্রাসে সর্বশান্ত হয়েছেন। তেমনি এলাকার সনামধন্য ২/১টি পরিবার মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে উঠতি বয়সি স্কুল কলেজ পড়ুয়া অনেক ছাত্র আকৃষ্ট হয়ে প্রতিদিন নতুন করে মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে।
কেউ কেউ চড়া মূল্যের এসব মাদকদ্রব্য কেনার টাকা যোগার করতে চুরি ছিনতাইয়ের পথ বেছে নিয়েছে।
স্থানীয় সচেতন মানুষগুলোর অভিযোগ,  মহিমাগঞ্জের প্রায় ১০/১২টি পয়েন্টে প্রতিদিন অবাধে চলছে অবৈধ ফেন্সিডিল, হেরোইন, ইয়াবাসহ নানা মাদকের কেনা বেচা। এমনকি পানের দোকানের আড়ালেও চলছে রমরমা ইয়াবা ব্যবসা। প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মাসিক উৎকোচের বিনিময়ে এসব কর্মকাণ্ড দেখেও না দেখার ভান করছেন।
বিভিন্ন স্পট গুলোতে প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও বিক্রয় চলছে, বিষয়টি দেখেও নিরব রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, এমতাবস্থায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীরা।
প্রতিদিন রাতের রাধারে বাঁকখালী নদী পাড়ি দিয়ে শত শত বোতল ফেন্সিডিল, গাজা, ইয়াবাসহ, প্রবেশ করছে হরেক রকমের মাদকদ্রব্য। মাদক ব্যবসায়ীদের যোগসাযোসে কতিপয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী অসাধু সদস্যদের মদদে কোনদিন কোন অভিযান হয়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ চোরাচালিনর সংখ্যা তেমন একটা চোখে না পড়লেও মাদক পাচার কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে মাদকের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্পট গুলোতে মাদক সহজ লভ্য হওয়ায় প্রতিদিন বাড়ছে শিশু, কিশোর, তরুণ, তরুনীসহ নানা বয়সির মাদক সেবীর সংখ্যা। জেলা সদর থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকা থেকে ঔই সব  মাদক স্পটে ছুটে আসছে নানান বয়সি মাদক সেবী। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা বাহিনীর মাদক প্রতিরোধ অভিযান তো দুরের কথা, কেউ আসেনি কোন দিন। এজন্যই মাদক ব্যবসায়ী,পাচার কারী ও সেবনকারীদের দৌড়াত্ব ফিরে এসেছে পূর্বের চেহারায় ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসব কর্মকা-দেখে স্থানীয় জনতার সাথে বৈঠক করে এবং মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সোলতান ও সদস্য শরীফ উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করার পরও যখন এখানে কোন অভিযান হয়নি। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে আমাদেরকে মাদক নির্মূলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তারা বলেন, মাদক প্রতিরোধে আমরা সর্বোচ্চ কঠোর হবো। মাদকের সাথে জড়িত কারো রেহাই নাই।