প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন পূর্বে বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি তাঁর লিখনিতেই সে কথা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘বাঙালির জয় হোক, বাংলার জয় হোক’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘদিন পরে ১৯৭১ সালে কাজী নজরুলের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাজী নজরুলের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেই ক্ষান্ত হননি, তিনি কাজী নজরুলকে ভারত থেকে বাংলাদেশে এনে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়েছেন, দিয়েছেন জাতীয় কবির স্বীকৃতি।

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর ৪২৬ তম পাক্ষিক সাহিত্য সভায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যু বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।

২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার বিকালে শহরের এন্ডারসন রোডে একাডেমীর অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম। কবির মৃত্যু বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কবির জীবনালেখ্য আলোচনা ছাড়াও কবির কবিতা পাঠ করা হয়।

সভায় বক্তাগণ বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম শিশুদের মাধ্যমে দেশের জনগণকে বেনিয়া ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে নেমে পড়ার আহবান জানিয়েছিলেন। কবি তাঁর কবিতায় বলেছেন, ‘আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে’। তিনি মূলত দেশের জনগণকেই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করতে সচেষ্ট ছিলেন।

বক্তাগণ বলেন, কাজী নজরুলকে বিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া ও পরিচিত করার জন্য তাঁর লেখনি ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। শুধুমাত্র বাংলা ভাষার মধ্যে তার লেখনি সীমাবদ্ধ থাকলে পৃথিবীর ইংরেজি ভাষা-ভাষী লোকজন নজরুলকে জানবে না, নজরুলকে চিনতে পারবে না।

একাডেমীর স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান কবি এডভোকেট সুলতান আহমেদ ও স্থায়ী পরিষদ সদস্য, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কবি অধ্যাপক দিলওয়ার চৌধুরী কবির জীবনালেখ্য নিয়ে আলোচনা করেন।

পরে সুলতান আহমেদ, দিলওয়ার চৌধুরী ও মুহম্মদ নূরুল ইসলাম কবির কবিতা পাঠ করেন।

৩১ আগস্ট একাডেমীর ৪২৭ তম পাক্ষিক সাহিত্য সভা

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর ৪২৭ তম পাক্ষিক সাহিত্য সভায় আগামী ৩১ আগস্ট ২০১৮ শুক্রবার, বিকাল ৪টায় শহরের এন্ডারসন সড়কের একাডেমীর অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। পাক্ষিকে ‘কক্সবাজারের সাম্প্রতিক সাহিত্যচর্চা’ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে একাডেমীর সংশ্লিষ্ট সকলসহ জেলার কবি-সাহিত্যিক, সাহিত্যামোদি, সাহিত্যানুরাগী, চিন্তাশীল গবেষক, বুদ্ধিজীবীদেরকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কবি রুহুল কাদের বাবুল অনুরোধ জানিয়েছেন।