মোস্তফা কামাল :

চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় মহাসড়ক ও একটি মার্কেটের পাশে কোরবানীর জবাইকৃত পশুর বর্জ্য ফেলে রাখায় বর্জের দূর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। এতে করে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই মার্কেটের দোকান ব্যবসায়ী সহ মহাসড়কের পাশ দিয়ে চলাচলরত শত-শত পথচারীদের। স্থানীয়দের অভিযোগে সরে-জমিনে গিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন সড়কের পূর্ব পাশে নতুন ভবন ছৈয়দ মার্কেট লাগুয়া স্থানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য-আবর্জনা ফেলানো হয়েছে। এতে এসব ময়লা আবর্জনার দূর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে ওই মার্কেটের দোকানদাররা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গত ৩দিন ধরে বন্ধ রেখেছে। ছৈয়দ মার্কেটের ভূক্তভোগী ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে জানান, ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মগছড়াজুম এলাকার বাসিন্দা মৃত মফজল আহমদের পুত্র আব্দু সালামের সাথে এলাকার মৃত এলাহাদাতের দুই পুত্র নুরুল আমিন ও নুর মোহাম্মদ গং এর সাথে জায়গা-জমির বিরোধ রয়েছে। এ জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ২২ আগষ্ট ঈদুল আযহার দিন নুরুল আমিন ও নুর মোহাম্মদ গংরা এই স্থানে তাদের কোরবানীর পশু একটি মহিষ জবাই করে শত্রুতা মূলক তারা ওই মহিষের বর্জ্য-আবর্জনা এখানে রেখে গেছেন। অপরদিকে আইনি ভাবে আবাদী জায়গায় গবাদি পশু জবাই বা পশুর বর্জ্য ফেলিলে দন্ডনীয় অপরাধের বিধান থাকলেও তারা এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব কাজ মহাসড়কের পাশেই করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের জায়গায় আমরা কোরবানীর পশু জবাই করেছি, এতে কারো অসুবিধা হলে আমার করার কিছু নেই!

এ ঘটনায় স্থানীয়রা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।