প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ভিত্তিক ছবি দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিয়ে নতুন প্রজন্মের নিকট প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। জাতির জনকের অপ্রকাশিত ছবিগুলো ব্যাপকভাবে প্রদর্শন করার উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বৃহষ্পতিবার সকালে কক্সবাজার সৈকতের ল্বাণী পয়েন্টের বালুচরে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর চিত্র প্রদর্শনী দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার এসময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহরের গ্যালারীতেও বাঙ্গালীর বেদনার মাস আগষ্টের শেষ সপ্তাহে কক্সবাজার সৈকতের আদলে আরো একটি চিত্র প্রদর্শনী আয়োজনের ঘোষণা দেন। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিত্র সাংবাদিক পাভেল রহমানকে উক্ত প্রদর্শনীতে আরো বেশী ছবি রাখার অনুরোধ জানান। বিভাগীয় কমিশনারের সাথে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (পর্যটন সেল) এস,এম সরওয়ার কামাল, সহকারি কমিশনার তানভীর আহমদ ও সেলিম শেখ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কক্সবাজার সাগর পাড়ের লাবণী পয়েন্টে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিন ব্যাপি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী গতকাল বৃহষ্পতিবার শেষ হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৩ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এই প্রদর্শনী। সাগর পাড়ে এই প্রথম বারের মত ব্যতিক্রমধর্মী এমন প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্র সাংবাদিক পাভেল রহমানের নিজের তোলা ও সংগৃহীত শতাধিক ছবি নিয়েই আয়োজন করা হয় প্রদর্শনীর। এসব ছবির মধ্যে অনেকগুলোই রয়েছে দুর্লভ ছবি। প্রদর্শনী নিয়ে আলোকচিত্র সাংবাদিক পাভেল রহমান বলেন-‘ সাগরের গর্জনের মতই বঙ্গবন্ধু গর্জে উঠেছিলেন পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে। সাগরের মতই ছিল তাঁর হ্রদয়।’ তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি জাতীয় শোক দিবসের এমন এক সময়ে প্রদর্শনী আয়োজনের ব্যবস্থা করে দিয়ে বেশ ভালই করেছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, কক্সবাজারে রয়েছে জাতির জনকের অনেক স্মৃতি। কক্সবাজার সৈকতের রক্ষাকবচ হিসাবে পরিচিত ঝাউবিথীও জাতির জনকের স্মৃতিকে বহন করে চলেছে। এজন্য জাতির জনকের শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত তীরকে তাঁর স্মৃতি প্রদর্শনীর জন্য বাছাই করে নেওয়া হয়েছে। সৈকতের লাবনী পয়েন্টে সার্বক্ষনিক সময় ধরে প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। প্রতিদিন জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সহ সাগর পাড়ে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা এ চিত্র প্রদর্শনী দেখতে সমবেত হন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।