ইমরান হোসাইন, পেকুয়া :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় দুই শিক্ষকের অব্যাহতি আদেশের খবরে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরালেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবউল করিম। বৃহস্পতিবার (১৬আগস্ট) দুপুরে শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে সহকারী প্রধান আব্দুল মালেক ও সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মোনাফের অব্যাহতির খবর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্কুল পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দরা শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করে তাদের নিভৃত করা চেষ্টা করে। এতে তারা ব্যর্থ হলে একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবউল করিম। তিনি শিক্ষকদের অব্যাহতি না করানোর আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফেরত পাঠান। এসময় দশম শ্রেণীর দুটি শ্রেণীকক্ষে ক্লাসও নেন তিনি।

এব্যাপারে শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইব্রাহিম বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ৬০বছরের অধিক বয়সের দুই শিক্ষক আব্দুল মালেক ও আব্দুল মোনাফকে অব্যাহতি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ খবর শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তার বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের হস্তক্ষেপে তা নিরসন হয়।

এদিকে শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রবীণ দুই শিক্ষককে অব্যাহতি বা প্রত্যাহারের কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি পরিচালনা কমিটি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মোঃ ইব্রাহিমের যোগসাজশে একটি কুচক্রী মহল শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করে এ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। গৌরবোজ্জ্বল এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ বিনষ্টে তারা সদা তৎপর। তবে খুব শীঘ্রই পরিচালনা কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান করা হবে।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের খরব পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করে তাদের ক্লাসরুমে ফেরত নিয়ে যাই। বিরোধীয় বিষয়টি অতিদ্রুত সমাধান করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।