প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক দিবসে আলোচনা সভায় এড. সিরাজুল মোস্তফা বলেন- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী, সাহসী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। বাঙালি পেয়েছে স্বাধীন রাষ্ট্র, নিজস্ব পতাকা ও জাতীয় সংগীত। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী চক্র জাতির পিতাকে হত্যা করে। ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ বাঙালি জাতির অন্তরে প্রোথিত হয়ে আছে। আসুন, আমরা জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে তার স্বপ্ন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আতœনিয়োগ করি। ক্ষুধামুক্ত, দারির্দ্যমুক্ত, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার এ সংগ্রামে আমাদের অবশ্যই জয়ী হতে হবে।

নবনির্বাচিত পৌর মেয়র ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে একদল বিপদগামী পাক হায়েনাদের প্রেতাতœা কুচক্রী গোষ্টি সপরিবারে হত্যা করে বাঙালী জাতীর জনক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, বাঙালী জাতীর অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ৪৭, ৫২, ৬৯, ৭০ সহ বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুর দ্বার হতে বার বার ফিরে এসেছিলেন, ৭১-এ পাকিস্তানী হায়েনারা যা করতে পারে নাই, সেই কাজটিই অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে স¤পাদন করে পাপিষ্ঠ ঘাতকরা। ওরা মানুষ নামের হায়েনার দল, ওরা শয়তানের প্রেতাতœা। ওরা জঘন্য। ওরা বিপদগামী হিংস্র জানোয়ারের দল। তিনি বলেন, একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে পিতা মুজিব মৃত্যুহীন। প্রাণী হিসেবে মানুষ মরণশীল বলে সবারই একটি মৃত্যুদিন থাকে। তবে কোনো কোনো মানুষের শুধু দেহাবসানই ঘটে, মৃত্যু হয় না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যিনি আমাদের জাতীর পিতা, তিনি চির অমর।

সভায় বক্তব্য রাখেন- এড. আহমদ হোছাইন, সালাউদ্দিন আহমদ সিআইপি, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, কর্ণেল ফোরকান আহমদ, এড. আমজাদ হোসাইন, রেজাউল করিম, এড.

আবুল কালাম, এড. রনজিত দাশ, মাহবুর রহমান মাবু, নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, খালিদ মাহামুদ, খোরশেদ কুতুবী, ইউনুছ বাঙালী, মিজানুর রহমান, নজিবুল ইসলাম, হামিদা তাহের, সোহেল আহমদ বাহাদুর, জহিরুল ইসলাম, আয়েশা সিরাজ, ওসমান গণি, রাসেল চৌধুরী, ডাঃ পরিমল। সভা পরিচালনা করেন- এম.এ.মনজুর। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- শফিক মিয়া, এড. বদিউল আলম, শফিকুল কাদের, ফরিদুল আলম, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, তাপস রক্ষিত, ডাঃ নুরুল আবছার, হেলাল উদ্দিন কবির, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, নুসরাত জাহান মুন্নি, এটিএম জিয়া উদ্দিন জিয়া, আবু তাহের আজাদ, সুলতানুল আলম, মিজানুর রহমান, জিএম কাসেম, বদরুল হাসান মিল্কী, কায়ছারুল হক জুয়েল, শফিউল্লাহ আনছারী, তাহমিনা চৌধুরী লুনা, মোরশেদ হোসেন তানিম, নুর আলম সরকারসহ পৌর আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।