সংবাদদাতা :
কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের গতকাল(২৭মে) কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরাসরি হস্তক্ষেপে শারমিন আক্তারের (১৪) বিবাহ তাৎক্ষনিক বন্ধ করে দিয়ে পিতা মো আলী এবং চৌফলদন্ডী ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রেখে ১৮ বছর পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার জন্যে তাৎক্ষনিক একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছিলো। কিন্তু ইউএনও’র সিদ্ধান্তকে অমান্য করে সন্ধ্যার পরে পূনরায় বিবাহের আনুষ্টানিকতা সম্পন্ন করে কিশোরী মেয়েকে বউ বানিয়ে সিএনজি ট্যাক্সি যোগে শশুড় বাড়ি নিয়ে আসা হয়।
গল্পটা কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী কালু ফকিরপাড়া আদর্শ বালিকা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী শারমিন আক্তার (১৪)। যার আজ অপরিণত বয়সে বধু সেজে শশুর বাড়ি যেতে হলো। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী শারমিনের বাল্যবিয়ের খবরটি কক্সবাজারের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল হাসানের নজরে আসার পর সরাসরি গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। স্থানীয়রা জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের উত্তর মাইজপাড়া এলাকার মো. আলীর কিশোরী মেয়ে শারমিন আক্তারের সাথে বিয়ে হয় ইসলামাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ খোদাইবাড়ী এলাকার মোহাম্মদ বশিরের ছেলে মো. রুহুল আমিন। বিয়ের কাবিননামা করার জন্য কনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি ভূয়া জন্ম সনদও তৈরী করা হয়। ওই জন্ম সনদ দিয়ে ইতোমধ্যে কাবিননামা সম্পন্ন করা হয়। চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াজ করিম বাবুল বলেন, ‘শারমিন নামের ওই কিশোরীর বাল্যবিয়ের বিষয়টি বৃহস্পতিবার আমি জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানায়। পরে দুপুর ১২ টায় ইউএনও স্যার উপস্থিত হয়ে এই বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন কিন্তু মধ্যরাতে জানতে পারলাম শারমিনকে তার শশুর বাড়ী খোদাইবাড়ীর মোহাম্মদ বশিরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ইউএনও’র সিদ্ধান্ত অমান্য করে পূনরায় বাল্য বিবাহ সম্পন্ন !
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।